আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে 'বাধা' হয়েছিল স্বামীর বয়স। কারণ তাঁর বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। 'টেস্ট টিউব বেবি' নেওয়ার অনুমতি দেয়নি স্বাস্থ্য ভবন। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশীপুরের দম্পতি। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই দম্পতির আবেদনে সাড়া দিলেন। টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার পথে আদালতের নির্দেশে আর কোনও বাধা রইল না।
গত মঙ্গলবার কাশীপুরের ওই দম্পতি হাইকোর্টে আর্জি করেছিলেন। তাঁদের দাবি, ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনও সন্তান হয়নি। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিতে চান তাঁরা। তবে স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দেয়নি।
টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী আইএভএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় ওই ক্লিনিক। তারা তুলে ধরে স্বাস্থ্য দফতরের একটি নিয়ম। ওই নিয়ম অনুযায়ী স্বামীর বয়স অনেক বেশি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসার কথা বলা হয় দম্পতিকে।
টেস্ট টিউব সন্তান নিতে চাইলে পুরুষের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫৫ বছর। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৫০ বছর। আর কাশীপুরের দম্পতির স্বামীর বয়স ৫৮। সেজন্য অনুমতি দেয়নি স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই দম্পতি। তাঁদের পক্ষের আইনজীবী অচিন জানা সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। সন্তান মানুষ করার জন্য এটাই যথেষ্ট। আর টেস্ট টিউব সন্তান নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ক্লিনিকের পক্ষের আইনজীবী সুমন চক্রবর্তী জানান, বয়স এক্ষেত্রে কোনও বাধা হবে না। সব শুনে টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার অনুমতি দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।