কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ। তরুণীদের যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ২ মিনিটের সুখই সব নয়। এটা বোঝা দরকার। তরুণ-তরুণীদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। একটি ধর্ষণ মামলায় রায় শোনাতে গিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টেটর ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। বিচারপতিদের মতে, শুধু তরুণীরা নয়, তরুণদেরও উচিত মহিলাদের সম্মান করা।
তরুণকে বেসকুর খালাস করার নির্দেশ দেওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্ট তরুণ-তরুণীদের জন্য একাধিক পরামর্শও দিয়েছে। আদালতের পর্যনেক্ষণ, বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের অবশ্যই যৌন প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এবং বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেদের তরুণী ও মহিলাদের সম্মান করতে হবে।
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে দোষী সাব্য়স্ত করেছিল নিম্ন আদালত। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর যখন ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়, ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বস্তুত, আদালতে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সন্তানের জন্ম দেয় নির্যাতিতা।
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, POCSO আইনের লক্ষ্য ১৮ বছরের কম বয়সী প্রত্য়েককে যৌন হেনস্থার হাত থেকে বাঁচানো। কিন্তু এই আইন তরুণ-তরুণীদের যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার অধিকারকে খর্ব করছে। ১৬ বছরের বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীরা যদি সহমতের ভিত্তিতে যৌনতা লিপ্ত হয়, সেক্ষেত্রে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত নয়।
আদালত এও জানিয়েছে, আমাদের সমাজে এই ধরনের ঘটনার পিছনে রয়েছে যৌন শিক্ষার অভাব। সমস্ত শিশু ও কিশোরকে উপযুক্ত যৌনশিক্ষা পাওয়ার অধিকার দেওয়া উচিত। কিশোর কিশোরীদের স্বার্থে এই শিক্ষা দেওয়া দরকার।