Calcutta High Court বুধবার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। দুপুর ২ টোয় এই মামলার রায়দান করবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল দুই বিচারপতির বেঞ্চ৷
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। ২০১৬ সালে নিয়োগ হয়। ৪২ হাজারেরও বেশি জনকে নিয়োগ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ তবে নিয়োগে একাধিক ত্রুটি রয়েছে, অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়ঙ্কা নস্কর নামে এক প্রার্থী-সহ প্রায় ১৪০ জন৷ মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়নি৷ প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে৷ যদিও পর্ষদ দাবি করেছিল, অনিয়ম হলেও তা সংশোধন করা হয়েছে।
মামলার সওয়াল জবারের পর ২০২৩ সালের ১২ মে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। সঙ্গে জানান, ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে সেই রায়কে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তখন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।
এরপর সেই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। তবে তা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত৷ পরবর্তীতে মামলা শোনেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলারই রায় ঘোষণা হতে চলেছে আগামিকাল৷