দলের নিহত কর্মী (Murdered Worker) পরিবারের সদস্যদের কয়েকজনকে বিধানসভা ভোট (Assembly Elections)-এ প্রার্থী করবে বিজেপি (BJP)। এমনই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কতজনকে প্রার্থী করা হবে, সে ব্য়াপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটে কারা প্রার্থী হবেন, সে ব্য়াপারে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। এর যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমন খারাপ দিকও রয়েছে। একাধিক প্রার্থী থাকা মানে দলের প্রসার হচ্ছে। আরও বেশি করে মানুষ বিজেপিতে ঢুকছেন। মানুষের মধ্যে বিজেপি সম্পর্কে আগ্রহ আরও বাড়েছে। আর খারাপ দিক হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা। যিনি প্রার্থী হতে পারবেন না, তিনি নির্দল হিসেবে লড়তে পারেন, অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে ভিড়ে যেতে পারেন। এর প্রভাব পড়বে ভোটের ফলে। সংশ্লিষ্ট আসনে দলের ভোট কমবে। এই সমস্যা কী করে সামাল দেওয়া যেতে পারে, তা ভাবাচ্ছে বিজেপিকে।
এর মধ্যে যাঁরা ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে, তাঁদের নিয়ে সমস্যা বেশি হবে বলে মনে করছে দল। কারণ স্বাভাবিক কারণেই 'নিরাপদ' আসন কেউ ছাড়তে চাইবেন না। ফলে তাঁদের কোনও কারণে ওই আসনে প্রার্থী করা না গেলে কী করে বোঝানো যায়, তা মাথা ব্যথা বাড়িয়েছে দলের।
দলের দাবি, স্থানীয় স্তরে তাঁদের অনেক নেতা-কর্মীকে খুন হতে হয়েছে। বিজেপি তাঁদের কথা ভোলেনি। দলের নেতারা বার বার তাঁদের কথা মনে করেন। এবার তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থেকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মী মণীশ শুল্কার স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। তাঁকে ব্য়ারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোনও বিধানসভা আসনে প্রার্থী করা হবে। নাম রয়েছে হেমতাবাদের নিহত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবারেরও। এমন আরও কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কারা কারা ভোটে লড়তে পারবেন, সে দিকটিও দেখা হচ্ছে।
শনিবার বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জি দাবি করেন, এ রাজ্যে ১২০ জনের বেশি বিজেপি কর্মীকে খুন হতে হয়েছে। তাঁদের কথা দল সব সময় মনে রেখেছে। তিনি জানান, শহিদ পরিবারের কোনও সদস্যকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন কিনা, সে দিকটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।