বছরের শুরুতেই দুশ্চিন্তার খবর। বাংলায় সংক্রমক মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, canine parvovirus নামে এই রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে পথকুকুরদের মধ্যে। গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রচুর কুকুরের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সংক্রমণ এই রোগের জেরে কুকুরগুলির মৃত্যু হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই রোগ ঘিরে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে, কারণ ২০২০ সালে কুকুরদের মধ্যে সেভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি হয়নি করোনা জেরে। ফলে এই রোগে ব্যাপক হারে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে।
নতুন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর লকডাউন ছিল। অনেকে গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন। ফলে ২০২০ সালে কুকুরদের মধ্যে সেভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি হয়নি। অনেক বাড়িতে কুকুরদের টিকা দেওয়া হয়নি। আর এর জেরেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন, ৩ দিনে ১৭৮টি পথ কুকুরের মৃত্যু, ব্যাপক চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে
আরেক চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, আগে থেকে টিকা দেওয়া থাকলে, কুকুরদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে কিংবা সংক্রমণ হলেও ওতোটা রোগের প্রভাব থাকে না। এই রোগের লক্ষণ খাবার না খাওয়া, বমি করা, ডায়রিয়া। কুকুরদের মধ্যে বমিভাব বন্ধ হয়ে গেলে parvo care নামে একটি ওষুধ তিনি দিতে বলেছেন। ঋতু পরিবর্তনের জন্যই এই রোগ হানা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
কুকুরদের মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন
মাত্র ৩ দিনে বিষ্ণুপুরে ২৫০টি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ কুকুরছানা। শুধুমাত্র বিষ্ণুপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকেও কুকুর মৃত্যুর খবর আসছে। এখন পর্য্ত এই সম্পর্কে স্পষ্ট মৃত্যুর কারণ না জানা গেলেও, মনে করা হচ্ছে সংক্রমিত parvo রোগের জেরে এই ঘটনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই রোগটি সাধারণত মুখের মাধ্যমে এক কুকুর থেকে অপর কুকুরের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিতে আতঙ্ক দেখা গিয়েছে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে। ইতিমধ্যে অনেকে নিজের বাড়ির পোষ্য কুকুরকে বাইরে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু পথ কুকুরদের মধ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি হবে কিনা, সেই সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।