আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই। সোমবার, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (CBI) আধিকারিকরা এমনটা জানিয়েছেন। বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার চার্জশিট অনুযায়ী, সঞ্জয় রায় পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। ৯ই অগাস্ট এই অপরাধ করে সে। ঘটনার রাতে, নির্যাতিতা হাসপাতালের সেমিনার রুমে বিশ্রামের জন্য ঘুমাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় নৃশংস অপরাধ ঘটে, জানিয়েছে সিবিআই।
ওয়াকিবহাল সূত্রের মতে, CBI চার্জশিটে গণধর্ষণের অভিযোগের কোনও উল্লেখ করেনি। অর্থাৎ, এর থেকে মনে করা হচ্ছে যে, সঞ্জয় রায় একাই এই অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তবে উল্লেখ্য, সিবিআই তাদের তদন্ত জারি রেখেছে।
আরজি করের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাঁকে পাকড়াও করেন পুলিশ আধিকারিকরা। পরে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে ঘটনার দিন ভোররাতে হাসপাতালের সেমিনার হলে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত করছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪ অগাস্ট তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এদিকে এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক মহল থেকে বারবার গাফিলতির অভিযোগ উঠতে থাকে। তদন্তের মাঝেই হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রমাণ নষ্ট, আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ আনা হয়। হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলায় ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে এর আগেও সিবিআই জানিয়েছে, মহিলা ডাক্তারের গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সিবিআই-এর আইনজীবী এর আগে জানিয়েছেন, এখনও ধর্ষণ বা হত্যার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।