কয়লা পাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান। প্রতীকী ছবি-ইন্ডিয়া টুডেবেআইনি কয়লা পাচার চক্রের তদন্তে ব্যবসায়ী লালার সল্টলেকের বাড়িতে ৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালালেন সিবিআই আধিকারিকরা। কয়লা পাচার চক্রের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই কয়লা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এর আগেও তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।
তল্লাশি অভিযান সিবিআইয়ের
এদিন পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের অন্তত ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেইসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয় কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার সল্টলেকের বাড়িতেও। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলে এই তল্লাশি অভিযান। এদিন কলকাতা-সহ আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, বর্ধমান ও দুই ২৪ পরগনা একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলেছে। প্রসঙ্গত, বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে লালার বিরুদ্ধে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে লালার প্রায় ২২টি অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসার পরেই তৎপর হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা তার সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। ইসিএলের দুটি কোল্ড ফিল্ড থেকে বেআইনি কয়লা খাদান ও পাচারের অভিযোগও দায়ের করেছে সিবিআই।
লালার বাড়িতে তল্লাশি
নভেম্বরের শুরু রাজ্য সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত সেই একই দিনেই লালার বাড়ি-সহ অফিসগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল প্রথমে। সেইসময় লালার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন শাহ। তিনি বলেছিলেন, "আমি শুনেছি লালা বলে একজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে পরিষ্কার করে বলুক লালার সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক রয়েছে। কয়লার রাজস্ব কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই পায়। কয়লার রাজস্ব চুরি করা একজন ব্যক্তির জন্য এতো চিন্তার কী আছে? যদিও অমিত শাহের এই মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ''কোথায় কোথায় লালার টাকা যায় ওরাই খুঁজে বের করুন, দেশের কয়লাখনি গুলি কেন বিক্রি করা হল?''
এহেন লালার বাড়িতে ফের একবার দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালালেন গোয়েন্দারা। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।