২রা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও ফেসবুকে লাইভ (Facebook Live) ভিডিও করেছিলেন নারকেলডাঙ্গার বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার। ভিডিওতে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজ্যের শাসকদলের প্রতি। বারবার ঘটনার সবিস্তার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছিলেন তাঁর চোখের সামনে কিভাবে চলছে লাগামছাড়া রাজনৈতিক সন্ত্রাস। আর সেই সন্ত্রাসের নেপথ্যে থাকা একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীর নামও উল্লেখ করেছিলেন সক্রিয় ওই বিজেপি কর্মী। নিরাপত্তা চেয়ে বারবার ফোন করেছিলেন লালবাজার এবং নারকেলডাঙ্গা থানার পুলিশকে। এর কিছুক্ষণ পরেই শাসকদলের বাহিনী গিয়ে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ পরিবারের।
ফোন বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই
অভিজিৎ আর না থাকলেও, এখনও তাঁর ফোনে রয়ে গিয়েছে একাধিক ভিডিও এবং কল রেকর্ড। যেগুলি নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মামলায় অন্যতম তথ্য প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে বলে মনে করছে সিবিআই। এবার তাই অভিজিতের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্র তদন্তকারী সংস্থা। ফোনটি পরীক্ষার জন্য পাঠান হয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে।
সোমবার সিবিআই তরফে ডেকে পাঠান হয় অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারকে। তিনি সিবিআই আধিকারিকদের হাতে ভাইয়ের ফোনটি তুলে দেন। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে পাঠান হয় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। সিবিআই সূত্রে খবর,অভিজিতের ফোনে থাকা একাধিক ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
একটি সূত্রর দাবি, মৃত্যুর আগে যেহেতু অভিজিৎ নিজেই ভিডিওগুলি বানিয়েছিলেন এবং গোটা ঘটনার বিবরণও তিনি নিজেই দিয়েছিলেন তাই সেগুলি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ কাজে লাগবে বলে মনে করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। এমনকী ভিডিওতে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের নেপথ্যে থাকা একাধিক ব্যক্তির নামও অভিজিৎ উল্লেখ করেছিলেন। তাই অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হিসেবে ওই ভিডিওগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সিবিআই।