ভবানীপুরে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তাঁকে ইতালিতে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে আগাগোড়া ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের আগে তাঁর হাতে কি অস্ত্র তুলে দিল বিজেপি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিন বিজেপির হিন্দুত্বের ট্রাম্পকার্ড তাঁদের দিকে ছুঁড়ে ওভারট্রাম্প করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রে গিয়ে প্রচারে এদিন জনসভা করেন।
রোমে যেতে না দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ
এদিন হিন্দুত্বের তাস খেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৬ ও ৭ অক্টোবর ইতালির রোমে বিশ্ব শান্তির জন্য সভা হওয়ার কথা। কিন্তু ওই সভায় আমন্ত্রিত হলেও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেয়নি বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। এ নিয়ে ব্য়াপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমাকে ওরা হিংসে করে
তাঁর কথায় বিশ্ব শান্তির জন্য সভা ছিল রোমে। দুমাস আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জার্মান চ্যান্সেলর, ইজিপ্টের ইমাম ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আমাকে যেতে বলেছিল। বাংলাদেশে-ভারতের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আমাকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল ইতালি সরকার। কেন্দ্র সরকার চিঠি দিয়ে খারিজ করে দিয়েছে। আমাকে ওরা হিংসে করে। তাই আটকে দিল।
প্রধানমন্ত্রীকে হিংসে করি না, কিন্তু আমাকেও যেতে দিতে হবে
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি যেখানেই যাই, মানা করে দেয়। আর এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভ্যাকসিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে টানাপড়েন প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ভ্যাকসিন কে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুমতি নিয়ে চলে গেলেন। একবারও ভাবলেন না কত শিল্পপতি, পড়ুয়া যেতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী যাওয়াতে আমার আপত্তি নেই। দেশের জন্য যেতে হয়, আমি জানি। কিন্তু কেন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দিলেন না সেটা নিন্দার।
হিন্দু মহিলাকে যেতে দিলেন না কেন ?
শান্তির ব্যাপারে কেন আমাকে আটকে দিলেন, এভাবে আমাকে আটকাতে পারবেন না। যেতে দিলে লোকে দুঃখিত হতো না। তার সঙ্গে দেশের সম্মান জড়িত ছিল বলে মমতা দাবি করেছেন। বিঁধেছেন তিনি। বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতিকেও তিনি বলেনস বেআইনি কাজ করছে বিদেশমন্ত্রক। মমতার দাবি, আমি বিদেশ ঘুরতে যেতে ইচ্ছুক নই। কিন্তু এর সঙ্গে দেশের সম্মান জড়িত। সব ধর্মের লোক থাকবে। "বিজেপি হিন্দুত্ব নিয়ে এত কথা বলে, অথচ হিন্দু মহিলাকে যেতে দিলেন না কেন ? " প্রশ্ন করেন তিনি।
ভবানীপুরই ভারতকে পথ দেখাবে
এদিন মমতা দাবি করেন, ভবানীপুরই ভবিষ্যতে ভারতকে পথ দেখাবে। এমনকী বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলেছে কংগ্রেস বলেও এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। ভবানীপুরে এদিন ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে বলেন, অশান্তি ঝামেলা করা আমাদের কাজ নয়। সংখ্যালঘু শিক্ষায় বাংলা এক নম্বরে।বিজেপি শুধু গুন্ডামি অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। অসমে উচ্ছেদের নামে অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি।