সোমবার রাতে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্যের জন্য CESC কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা মেনে নিল ওই বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়, মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
CESC র এগজিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (CESC)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার কলকাতায় রেকর্ড বৃষ্টির পর মঙ্গলবার জলমগ্ন রাস্তায় বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেকে। এক এক করে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যায়। বুধবার ভবানীপুরে একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মৃতদের পরিবারের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য। একইসঙ্গে প্রয়োজনে হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, 'মৃত্যুর বিকল্প কোনও ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। তবে অন্তত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের দায়িত্ব।'
সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতজনের মৃত্যুর জন্য CESC কে দায়ি করেছিলেন। তিনি সাফ বলেছিলেন, 'কলকাতায় মারা গেছেন আটজন, গ্রামবাংলায় আরও দুই। সিইএসসি তাদের দায় অস্বীকার করতে পারে না। আমি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। এটা আমাদের আমলের সমস্যা নয়, ওরা বামফ্রন্টের আমল থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালাচ্ছে। তাই দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।' তারপরই আজ সিইএসসির তরফে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হল।
এদিকে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি৷ বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ শুক্রবার সেই মামলাগুলির শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷