scorecardresearch
 

CV Anand Bose: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের, কী অভিযোগ?

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই চলছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। অতিসম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে পদ থেকে সরানো হয়।

Advertisement
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
হাইলাইটস
  • রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তদন্তের নির্দেশ।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি, হিংসা ও অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।  

রাজভবন জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে দুর্নীতি, হিংসা এবং অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এই তদন্ত কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন।      

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত

আরও পড়ুন

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই চলছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। অতিসম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে পদ থেকে সরানো হয়। বুধবার রাজভবন থেকে দেওয়া রিপোর্ট কার্ডে বলা হয়, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি নির্দেশে,বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে রেখেছেন যে উপাচার্যরা, তাঁদের সতর্ক করছেন আচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আচার্যের ক্ষমতাও মনে করিয়ে দেওয়া হয় ওই রিপোর্ট কার্ডে। 

শুক্রবার ওই রিপোর্ট কার্ডেরই জবাব দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকার জানাল, কোনও আলোচনা না করেই এককভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরিচালিত করতে চাইছেন রাজ্যপা। সুপ্রিম কোর্টের পুরনো নির্দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের চিঠিতে। রাজ্য জানিয়েছে, রাজ্যপাল নিয়ম মেনে চলছেন না। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে রাজ্যের পড়ুয়াদের অনিয়শ্চতার মুখে ফেলতে চাইছেন রাজ্যপাল। 

ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ

বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে দাবি করা হয়েছিল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ওই দাবিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। পরে রাজভবনের দু'টি পোস্ট মুছে দেওয়া হয়। পিটিআই জানায়, ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল বোস। যা হাস্যকর বলে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
 

Advertisement

Advertisement