চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ৪০ দিনের অভিযান সফল। বিক্রমের পেটের কাছের দরজাটি খুলে সেখান থেকে ঢালু পথ বেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে এই রোভারই কাজ করবে। গোটা দেশ চর্চা করছে চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের। কিন্তু জানেন এই কঠোর পরিশ্রম যাঁরা করছেন সেই সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ছেলেরাও।
চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’) কর্মসূচিতে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর। রাজ্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে অবতরণের প্রকল্পে নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অমিতাভ গুপ্ত এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সায়ন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন আরও কয়েক জন গবেষকও। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১৮ জন বিজ্ঞানী ছিলেন টিম চন্দ্রযানে। কে কোথায় পড়াশোনা করেছেন? দেখে নিন সেই তালিকা।
১. মৌমিতা সাহা, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ
২. জয়ন্ত লাহা, উত্তরপাড়া সরকারি হাইস্কুল, শিবপুর আইআইইএসটি, ইলেক্ট্রনিক্স এবং টেলিকমিউনিকেশন, ২০০৯ ব্যাচ।
৩. মানস সরকার, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন
৪. অনুজ নন্দী, রায়গঞ্জ কলেজ
৫. নীলাদ্রি মৈত্র, মছলন্দপুর নাকপুল স্বামীজী সেবাসঙ্ঘ
৬. বিজয় কুমার দাই, ভিলেজ স্কুল, রামকৃষ্ণ মিশন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
৭. সায়ন চ্যাটার্জি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
৮. অমিতাভ গুপ্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
৯. অভিজিৎ রায়
১০. অমিত মাঝি, রামকৃষ্ণ মিশন
১১. সৌরভ বসু, ডন বসকো স্কুল
১২ সমিতেশ সরকার, শিবপুর আইআইইএসটি
১৩. দেবজ্যোতি ধর, শিবপুর আইআইইএসটি
১৪. কৌশিক নাগ, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
১৫. আর্য রানা, তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
১৬. তসিকুল ওরা, কে এন কলেজ, বহরমপুর
১৭. কৃশানু নন্দী, আরসিসি ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
১৮. তুষারকান্তি দাস, চন্দ্রযানের ডেপুটি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর