Charu Market Murder Case: চারু মার্কেটের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, রহস্য

Charu Market Murder Case: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে অবিনাশ এক ব্যক্তির সঙ্গে ফ্ল্যাটে আসেন। তবে ওই ব্যক্তি তাঁর পরিচিত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিকেলের পর থেকেই অবিনাশের সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তির উপস্থিতি ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, তিনি একাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত নাকি আরও কেউ এতে জড়িত রয়েছে।  

Advertisement
চারু মার্কেটের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, রহস্যচারু মার্কেটের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, রহস্য

Charu Market Murder Case: কলকাতার চারু মার্কেট এলাকায় এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার বিকেলে দেশপ্রাণ শাসমল রোডের একটি বাড়ির ভিতর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চারু মার্কেট থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম অবিনাশ বাউরি (২২)। বাড়ি আসানসোল। তার যুবকের ঘাড় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। যেখানে খুন হয়েছেন সেটি কুশল ছাবড়া নাকে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। তিনি ওই বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ওই ফ্ল‌্যাটে পরিচারক হিসাবে কাজ করছেন তিনি। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে অবিনাশ এক ব্যক্তির সঙ্গে ফ্ল্যাটে আসেন। তবে ওই ব্যক্তি তাঁর পরিচিত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিকেলের পর থেকেই অবিনাশের সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তির উপস্থিতি ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, তিনি একাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত নাকি আরও কেউ এতে জড়িত রয়েছে।  

ঘটনার পর কুশল ছাবড়া নামের এক ব্যবসায়ী, যিনি ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন, তিনি অবিনাশকে একাধিকবার ফোন করলেও কোনও সাড়া পাননি। এরপর নিজের ড্রাইভারকে ফ্ল্যাটে পাঠান। ড্রাইভার গিয়ে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কেয়ারটেকারের কাছ থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে দরজা খোলার পরই প্রকাশ্যে আসে নৃশংস দৃশ্য। দেখেন ডাইনিংয়ের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অবিনাশের দেহ। ঘাড়, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।  

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই বাড়িতে অবিনাশ একাই ছিলেন। ব‌্যবসায়ীর স্ত্রী ও ছেলে বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। ব‌্যবসায়ীও দোকানে ছিলেন। দুপুর থেকে যুবককে ফোন করছিলেন কুশল। কিন্তু তিনি ফোন না তোলায় গাড়ির চালককে ফ্ল‌্যাটে পাঠান খোঁজ নিতে পাঠান ব্যবসায়ী। চালক ফ্ল‌্যাটে যান। দেখেন দরজা লক করা। ফ্ল‌্যাটের ডোরবেল বাজান। কিন্তু ফ্ল‌্যাটের দরজা খুলছিলেন না পরিচারক। তারপর চালক নীচে এসে আবাসনের কেয়ার টেকারকে বিষয়টি জানান। কেয়ার টেকার ফ্ল‌্যাটের নকল চাবি নিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখেন, পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement