scorecardresearch
 

Child Death: 'ঘাতক' অ্যাডেনো? বিসি রায় হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু

ফের শিশুমৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে । জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি ছিল পাঁচ মাসের এক শিশু ৷ রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। মৃত শিশুকে কোলে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

ফের শিশুমৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে । জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি ছিল পাঁচ মাসের এক শিশু ৷ রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। মৃত শিশুকে কোলে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন। 

এই শিশুমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বি সি রায় শিশু হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতিতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গেও শিশুটির পরিবারের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়, এমনকি হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। সবমিলিয়ে, ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পরিবারের অভিযোগ, ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা হাসপাতালের তরফে পরিবারকে জানানো হয়নি। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের।

জানা যাচ্ছে  অ্যাডেনোভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল শিশুটি।  হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ৩ মার্চ ৫ মাসের শিশুটিকে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনরা। তাঁরা বিধাননগর বাসন্তী কলোনির বাসিন্দা। জ্বর, সর্দির উপসর্গ নিয়ে শিশুটিকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। ১৬ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর রবিবার বিকেলে শিশুটির মৃত্যু হয়। এর পরেই তার পরিবার অভিযোগ তোলে, হাসপাতালের গাফিলতিতেই মারা গেছে সন্তান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে একের পর এক শিশুমৃত্যু ঘটেছে। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে হচ্ছে শিশুদের। বেসরকারি মতে গত দু'মাসে প্রায় দেড়শরও  বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। গত কয়েকদিনে কেবল বি সি রায় হাসপাতালেই একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণেই অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে সরকারি মতে, গত আড়াই মাসে ১৩ হাজার ৬১ জন শিশু শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছে টাস্ক ফোর্স। যেখানে বলা হয়েছে, জেলা হাসপাতালগুলিতে নজরদারি আরও বেশি মাত্রায় করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া রেফার রোগীর সংখ্যা যাতে কমানো হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

Advertisement