চিনা মাঞ্জায় রক্তাক্ত বাইক আরোহী, এবার সম্প্রীতি উড়ালপুলে

Chinese Manja: রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সম্প্রীতি উড়ালপুল দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন বজবজ পূজালির বাসিন্দা সোমনাথ দোলুই। সেই সময় চিনা মাঞ্জায় আটকে নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি।

Advertisement
আবার শহরে চিনা মাঞ্জায় রক্তাক্ত বাইক আরোহীসম্প্রীতি ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা। নিজস্ব ছবি।
হাইলাইটস
  • রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনা।
  • রক্তাক্ত বাইক আরোহী।
  • পাঠানো হয় হাসপাতালে।

মা উড়ালপুলে আকছার চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। তা রুখতে দু'পাশে গার্ড রেল দিয়েছে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও দুর্ঘটনায় বিরাম পড়েনি। এবার সম্প্রীতি উড়ালপুরে চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনা। রক্তাক্ত এক বাইক আরোহী। হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।  

রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সম্প্রীতি উড়ালপুল দিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন বজবজ পূজালির বাসিন্দা সোমনাথ দোলুই। সেই সময় চিনা মাঞ্জায় আটকে নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। বাইকটি ছিটকে পড়ে উড়ালপুলের পাশে। গুরুতর আহত হন বছর আটাশের সোমনাথকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।       
 
পুলিশ সূত্রের খবর, আনুমানিক দুপুর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ তারাতলা যাচ্ছিলেন সোমনাথ দোলুই। পাশেই চিনা মাঞ্জা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। সেই মাঞ্জায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারান সোমনাথ। গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। ঠিক সেই সময় তারাতলার দিক থেকে বজবজের যাচ্ছিলেন জনৈক বাইক আরোহী। তিনিই সোমনাথকে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর কপালে, নাকের উপর থেকে সেলাই করতে হয়েছে। 

বারবার সম্প্রীতি উড়ালপুলে একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ দিনেক ঘটনার পর মহেশতলার ট্রাফিক গার্ড পুলিশ সম্প্রীতি ফ্লাইওভারের বাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়ে। ধীরে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয় আরোহীদের। চিনা মাঞ্জার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবি উঠেছে।  

আরও পড়ুন- ফের কমছে তাপমাত্রার পারদ, মাঘের শুরুতে কি তাহলে জাকিয়ে শীত?

মা উড়ালপুলেও দুর্ঘটনা

বলে রাখি, গত বৃহস্পতিবার মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় আঘাত জখম হয়েছেন এক যুবতী। উড়ালপুলের ওপর দিয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন তিনি। পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট থেকে বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন ঘুড়ির সুতোয় নাক কেটে যায় তাঁর। গত বছরের নভেম্বরে মাঞ্জায় আহত হন খোদ পুলিশকর্মী। 

রমরমিয়ে চিনা মাঞ্জার ব্যবসা!

 নাইলনের সুতোয় লোহা ও কাঁচের গুঁড়োর মিশ্রণ দেওয়া হয়। সেই সুতোই চিনা মাঞ্জা নামে বিকোয় বাজারে। অত্যন্ত ধারালো এই মাঞ্জা। পাখিরাও আহত হয়। চিনা মাঞ্জা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও কী ভাবে বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে? সেই প্রশ্ন উঠছে। মেটিয়াবুরুজ, এন্টালি, খড়দহে চিনা মাঞ্জার বিক্রিবাটা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠছে উদাসীনতার অভিযোগ। 

Advertisement

আরও পড়ুন- দিল্লির রাজপথে ব্রাত্য নেতাজিকে নিয়ে ট্যাবলো! মোদীকে এবার চিঠি মমতার

 

POST A COMMENT
Advertisement