ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাস হয়ে গিয়েছে। আজ অর্থাত্ সোমবার নবান্নে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে অন্যতম বড় ইস্যু ছিল মহকুমার বিষয়টি।
মমতার কথায়, 'ধূপগুড়ি সাব ডিভিশন হচ্ছে। বানারহাটের কিছুটা অংশ নিয়ে। যা করার করে দেবো। সাবডিভিশন হচ্ছে, ডিসিশন হয়ে গেছে।' ২০২১ সালে ধূপগুড়ি বিধানসভাটি হাতছাড়া হয়ে যায় তৃণমূলের। বিজেপি-র বিষ্ণুপদ রায় জয়ী হন। তিনি প্রয়াত হওয়ার পরে উপনির্বাচন হয়েছে। ধূপগুড়ি ফের তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এসেছে। ভোটের আগে এই ধূপগুড়িতে জনসভায় গিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তৃণমূল জিতলেই ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষণা করা হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর ঠাকুরপাঠের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে মহাকুমা ঘোষণা করার সময়সীমা বেঁধে দেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর। এমনকী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে মহকুমা ইস্যুতেই শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন বারবার।
বস্তুত, এই মহকুমা তাসেই ধূপগুড়ি তৃণমূল নিজেদের দখলে নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে ৪,৩০৯ ভোটে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন শাসকদলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একটি উপনির্বাচনেও জয় পায়নি বিজেপি। বিধানসভা ভোটে জেতা জোড়া আসন দিনহাটা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচনে হেরে যায় তারা। ফলে দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ধূপগুড়ি। অন্য দিকে, একের পর এক উপনির্বাচনে জিতলেও শেষটিতে হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে। সাগরদিঘিতে জিতেছিল কংগ্রেস। পরে বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিলেও শাসকদলের ভোটে হারার ক্ষত রয়েই গিয়েছে। সেই ক্ষতে খানিক প্রলেপ লাগিয়ে ধূপগুড়ি জিতে নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস-- সকলেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটের প্রচার করেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মহকুমা গঠন একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এবং তা শাসকদলই দ্রুত নিতে পারবে বলে মনে করেছে ধূপগুড়ির মানুষের একটা বড় অংশ। যার নির্যাস, উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়।