Lakshmir Bhandar: বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়ল না, কী বললেন মমতা?

রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে কোনও ঘোষণা নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন করে কোনও বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ছে না।

Advertisement
বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়ল না, কী বললেন মমতা?বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়ল না, কী বললেন মমতা?
হাইলাইটস
  • লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনের ফর্ম দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পেই মিলবে
  • এছাড়াও অনলাইনেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানাতে পারেন

রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে কোনও ঘোষণা নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন করে কোনও বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ছে না। অর্থাৎ এসসি ও এসটি মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করেই ভাতা পাবেন। অন্য মহিলারা পাবেন ১০০০ টাকা করে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উল্লেখ এবং ওই প্রকল্পের জন্য কত মহিলা উপকৃত হয়েছেন তার উল্লেখ রয়েছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বাজেট পেশ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার জনপ্রিয় প্রকল্প। ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় রাজ্য সরকারের। অন্য রাজ্যগুলি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প টুকলি করে, বিশেষ করে বিজেপি।'

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে আক্ষরিক অর্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। অচিরেই এই প্রকল্প সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা রাজ্য সরকারের কাছে থেকে আর্থিক সহায়তা পান। এমনকী মমতার এই স্কিমের আদলে এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যেও মহিলাদের টাকা দেওয়ার প্রকল্প চালু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকার। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের ইশতেহারেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। রাজ্যের সব মহিলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার যোগ্য।

ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনের ফর্ম দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পেই মিলবে। এছাড়াও অনলাইনেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। এই প্রকল্প শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই। অ্যাকাউন্টধারীর নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের ঠিকানা, IFSC কোড এবং MICR কোড সহ আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, ব্যাঙ্ক পাসবুকের প্রথম পেজের জেরক্স। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্যক্তিগত হতে হবে। আবেদনকারীর সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। মনে রাখবেন, আরও অন্যান্য নথিও লাগতে পারে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement