দেশের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া আপডেট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯৬১।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের মধ্যে রয়েছেন দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে দিল্লিতে (৪৭)। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সংখ্যাটা ৪৪। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে কেরলে (১৪৩৫)।
কোথায় কত অ্যাক্টিভ কেস?
অন্ধ্রপ্রদেশ: ৩০
দিল্লি: ৪৮৩
গোয়া: ১০
গুজরাত: ৩৩৮
হরিয়ানা: ২৮
কর্নাটক: ২৫৩
কেরল: ১৪৩৫
মধ্যপ্রদেশ: ২৩
মহারাষ্ট্র: ৫০৬
পুদুচেরি: ৩৮
রাজস্থান: ৬৯
তামিলনাড়ু: ১৮৯
উত্তরপ্রদেশ: ১৫৭
পশ্চিমবঙ্গ: ৩৩১
ICMR-এর প্রধান ডা: রাজীব বহল বলেন, 'পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে কোভিড আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। আক্রান্তদের শরীরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট
পাওয়া গিয়েছে।'
কী কী উপসর্গ রয়েছে এবারের কোভিডে?
জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথাই মূল উপসর্গ। এগুলি হলে আইসোলেট হয়ে থাকা উচিত, বলছেন চিকিৎসকরা। শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, ডায়রিয়া, পেটের যন্ত্রণাই ওয়ার্নিং সাইন। এগুলি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। JN.1 ওমিক্রনেরই ভ্যারিয়েন্ট। এটি অতি সংক্রামক তবে সমস্যাদায়ক নয়। একমাত্র মারাত্মক কোমর্বিড রোগীদের ক্ষেত্রেই এটি গুরুতর হয়ে উঠচে পারে। ডায়াবেটিক, হাইপারটেশন, কিডনি জনিত অসুখে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের সাবধানে চলতে হবে। বাকি আর পাঁচজনের কাছে একটি সাধারণ পাসিং ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই বলে জনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।