scorecardresearch
 

সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই COVID রোগীকে সংজ্ঞাহীন করে অস্ত্রোপচার! নজির সাগর দত্তে

কোভিড আক্রান্ত রোগীদের অস্ত্রোপতার এমনিতেই যথেষ্ট ঝুঁকির। বিশেষ করে জেনারেল অনেস্থেসিয়া বা পূর্ণ অজ্ঞান করে অপারেশন করা।

Advertisement
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই আশঙ্কাজনক রোগীর অস্ত্রোপচার হল সাগর দত্ত হাসপাতালে (প্রতীকী ছবি) করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই আশঙ্কাজনক রোগীর অস্ত্রোপচার হল সাগর দত্ত হাসপাতালে (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
  • করোনার কারণে প্রায় বন্ধ অস্ত্রোপচা
  • তা সে সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল
  • এর মাঝে রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীর অস্ত্রোপচার করা হল

করোনার কারণে প্রায় বন্ধ অস্ত্রোপচার। তা সে সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল। এর মাঝে রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীর অস্ত্রোপচার করা হল।

চিকিৎসকদের মতে, নজির সৃষ্টি করল কলেজ অফ মেডিসিন এন্ড সাগর দত্ত হসপিটাল। কারণ কোভিড আক্রান্ত রোগীদের অস্ত্রোপতার এমনিতেই যথেষ্ট ঝুঁকির। বিশেষ করে জেনারেল অনেস্থেসিয়া বা পূর্ণ অজ্ঞান করে অপারেশন করা।

কারণ সে সময় রোগীর শ্বাসনালিতে টিউব দিয়ে কৃত্রিম ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস বজায় রাখা হয়। সেই কারণে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা থাকে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে চিকিৎসক এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে। সেই কারণে খুব জরুরি না থাকলে কোভিড সংক্রমিত রোগীর অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দেওয়াই যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

সাগর দত্ত হাসপাতালে  ১২ জুন থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)-এ ভর্তি ৫৮ বছরের ভোলা দাস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি বেলঘড়িয়ার নিমতায়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর খাদ্যনালীতে ফুটো ধরা পড়ে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় 'পেপটিক পারফোরেশন' বলে। সে কারণে রোগীর প্রবল সমস্যা হচ্ছিল।

পুরোপুরি সংজ্ঞাহীন করে, দ্রুত অপারেশান না করলে জীবন সংশয় হওয়ার প্রবশ আশঙ্কা ছিল। সে কাজে কোনও দ্বিধা করেনি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের আরএমও ডাঃ শুভদীপ হালদারের নেতৃত্বে সার্জিক্যাল টিম (সায়ন মিস্ত্রি, রুবিনা পারভিন) এবং ডাঃ অঞ্জন দাসের নেতৃত্বে অনেস্থেসিয়ার টিম(ডাঃ আমির হুদা এবং ডাঃ সুদীপ্ত সাহা)। সেইসঙ্গে নার্স ও অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফেরা।

রোগীর জীবন বাঁচাতে ঠিক করা হয় রাতেই অস্ত্রোপচার করা হবে। রোগীর পরিজনকে ফোন করে আনা হয়, তাঁদের অনুমতি নেওয়া হয়। এবং পূর্ণ অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচারের পর খাদ্যনালীর ফুটো বন্ধ করা হয়। রোগী এখন ভাল আছে।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মানস গুমটা জানান, রাত দেড়টার সময় বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। তাঁরা সম্মতি দেন। তিনি জানান, কোভিড রোগীকে অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচার করতে গেলে বেশ ঝুঁকি রয়েছে। কারণ শ্বাসনালীতে টিউব ঢুকিয়ে রোগীকে সংজ্ঞাহীন করতে হয়।

Advertisement

তিনি আরও জানান, সেই পদ্ধতিতে টিউব ঢোকানো মানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তবে ওই চিকিৎসকেরা সে-সব তোয়াক্কা না করে অস্ত্রোপচার করেছেন। ওই রোগীকে বাঁচানোর জন্য তাঁরা বেশ ঝুঁকি নিয়েছেন।

 

Advertisement