বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ফেনজল বুধবার দুপুর থেকেই শক্তি দেখাবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। ইতিমধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিশেষত তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে দুর্যোগের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলায় প্রভাব: শীতের পথে বাধা
ফেঙ্গলের প্রত্যক্ষ প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপর না পড়লেও, পরোক্ষ প্রভাব উল্লেখযোগ্য হবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে—পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায়—হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, দার্জিলিং এবং কালিম্পং পার্বত্য এলাকাতেও হালকা বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
শীতের পথে বাধা সৃষ্টি হবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
তামিলনাড়ুতে ফেনজলের দাপট
তামিলনাড়ুর বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তিরুভারুর, মায়িলাদুথুরাই, নাগাপ্পাটিনাম এবং কুড্ডালোর জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনডিআরএফ এবং রাজ্য প্রশাসনের বিশেষ টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা
বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষত শ্রীলংকা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ঝড়ের তীব্রতা বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
পরিস্থিতির দিকে নজর
ঘূর্ণিঝড় ফেনজল দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও জলীয় বাষ্পের মাত্রা বাড়িয়ে আর্দ্র আবহাওয়া তৈরি করবে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ায়, শীতের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে এই মাসে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কম।