শুক্রবার আবারও সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে রাজ্যের করা ডিএ মামলা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ এপ্রিল শুক্রবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চে এই মামলা উঠবে। মামলার সিরিয়াল নম্বর হল ৬০। অর্থাৎ ৫৯টি মামলার শুনানির পর এই মামলা শোনা হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছে, তাঁরা আশীবাদী শুক্রবারই রাজ্য সরকারের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের নিষ্পত্তি করা হবে।
২০২২ সালের মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে। এরপর বেশ কয়েকবার মামলা উঠলেও শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
শেষবার শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলা উঠেছিল ২৮ এপ্রিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলা। মামলার নম্বর ছিল ৪৯ নম্বর। সরকারি কর্মী ও আইনজীবীরা আশা করেছিলেন, মামলাটি শুক্রবারই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তবে শুনানি শুরু হতেই সরকারের তরফে জানানো হয়, তাঁদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এখনও উপস্থিত হননি। সেজন্য পাশওভার চাওয়া হয়। তখন রাজ্যের মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবীদের তরফে আবেদন করা হয়, আজই যেন মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, মাননীয় বিচারপতিরা জানান, তাঁরা পাশওভার দিচ্ছেন কিন্তু আরও মামলা রয়েছে। সেগুলোর শুনানিও হবে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয় মামলা আপাতত স্থগিত। পরবর্তী শুনানির দিন ১৪ জুলাই ঠিক করা হয়।
মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লি রওনা হয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'আমরা আশা করছি রাজ্য সরকারের করা এসএলপি খারিজ হয়ে যাবে। কর্মীদের পক্ষেই মামলার রায় আসবে। আশা করছি হাইকোর্টের রায় মান্যতা পাবে শীর্ষ আদালতে। সরকারের আর তখন কোনও জায়গা থাকবে না। সরকারকে তখন হিসেব কষে ডিএ দিতে হবে।'