Dey's Medical Fire Kolkata: বন্ডেলগেটে দে’জ মেডিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, দাহ্য বস্তু, সরু গলিতে হিমশিম দমকলবাহিনীর

ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার বন্ডেল গেট এলাকায় দে'জ মেডিক্যালের কারখানায় আগুন লাগে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। আগুন লাগার পর থেকেই আতঙ্কে স্থানীয়রা।

Advertisement
বন্ডেলগেটে দে’জ মেডিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, দাহ্য বস্তু, সরু গলিতে হিমশিম দমকলবাহিনীরদে'জ মেডিক্যালের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
হাইলাইটস
  • বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার বন্ডেল গেট এলাকায় দে'জ মেডিকেলের কারখানায় আগুন লাগে।
  • খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন।
  • সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।

Dey's Medical fire Kolkata: ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার বন্ডেল গেট এলাকায়(Bondel Gate factory fire) দে'জ মেডিক্যালের কারখানায় আগুন লাগে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। আগুন লাগার পর থেকেই আতঙ্কে স্থানীয়রা। সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কারখানা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। মোট ১১টি ইঞ্জিন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। এমনটাই জানিয়েছেন এক দমকল আধিকারিক। যদিও আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে এক দমকলকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে শহরের ব্যস্ত স্থানে এমন আগুনের খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় থানা ও দমকলের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, কারখানার চারপাশের সরু গলি দিয়ে আগুন নেভানোর গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প রাস্তায় ঘুরিয়ে দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো সংস্থা দে'জ মেডিক্যাল। কারখানার একাধিক কর্মী জানান, ঘন কালো ধোঁয়ায় তাঁদের রীতিমতো শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেই সময় ভিতরে কিছু মেরামতির কাজ চলছিল বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।

তবে ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ওষুধ কারখানায় প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক এবং দাহ্য পদার্থ মজুত থাকে। সেই কারণেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকে।

লোকালয়ের মাঝে এক কারখানায় কীভাবে এত দাহ্য পদার্থ জমা রাখা হয়? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

দমকলকর্মীরা জানাচ্ছেন, কারখানার ভিতরে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement