Tiljala Case Verdict: তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা, 'বিরল থেকে বিরলতম', বলল আদালত

তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কলকাতার পার্ক সার্কাস সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শিশুটির এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে। 

Advertisement
তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা, 'বিরল থেকে বিরলতম', বলল আদালত
হাইলাইটস
  • তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত।
  • বিচারকের পর্যবেক্ষণ, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।

তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কলকাতার পার্ক সার্কাস সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শিশুটির এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে। 

বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের ঘটনা। শিশুটির ওপর অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছিল। তার নিজেকে বাঁচানোর ক্ষমতাও ছিল না। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন ছাড়াও অপরহণ, অস্বাভাবিক যৌন নির্যাতন, খুনের তথ্য-প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ করা হয়েছিল। 

বাড়ির আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ৭ বছরের একটি শিশু। সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার তিলজলা এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ শিশুটির কোনো খোঁজ না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের গাড়িতে হামলা পর্যন্ত হয়। পরে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং তিলজলা থানার পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নামে। এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, শিশুটির বাড়ির আশেপাশের বাড়িগুলিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে একটি বাড়ির ভিতর থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

তদন্তে জানা যায়, শিশুটির প্রতিবেশীই ছিল অভিযুক্ত। সে নিজের বাড়ির সিলিন্ডার রাখার স্থানে বস্তার মধ্যে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখেছিল। ময়নাতদন্তে দেখা যায়, শিশুটির মাথায় অন্তত ২১টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে জানা যায়, তাকে দুটি হাতুড়ি দিয়ে মেরে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং মৃত্যুর আগে শ্বাসরোধও করা হয়। ঘটনার ১৮ মাস পর আদালতে অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement