গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আরও একটি দেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। জানা গিয়েছে, রাত ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ আবদুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু নিজামের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর ছেলেরা দেহ শনাক্ত করেন।
গত রবিবার রাত প্রায় ১২টার সময় গার্ডেনরিচের ব্যানার্জিপাড়া এলাকায় আচমকা ভেঙে পড়েন একটি পাঁচতলা নির্মীয়মাণ বহুতল। আশপাশের ঝুপড়ির ওপরে ভেঙে পড়েন বহুতলটি। ধ্বংসস্তূপের নীচে অন্যদের মতো চাপা পড়ে যান শেরু নিজামও। দুর্ঘটনার পর তাঁর খোঁজ শুরু হয়। শেরুর মোবাইলে ফোন করেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। ফোন ধরে জবাবও দেন তিনি। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকেই শেরু ফোনে জানিয়েছেন যে তিনি ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন, তবে বেঁচে আছেন। দ্রুত উদ্ধার করার আবেদনও জানান শেরু।
এর পরেই ফোন বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে জানানো হয় উদ্ধারকাজ প্রায় শেষের পথে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলবে। সেই ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়েই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শেরু নিজামের দেহ উদ্ধার করা হয়।
গার্ডেনরিচ এলাকাজুড়ে রয়েছে আরও অবৈধ নির্মাণ। এক একটি ফ্ল্যাট-বাড়ির মাঝে একহাতের ফাঁকটুকু নেই এমনও দেখা গেছে। যে বহুতলটি ভেঙে পড়েছে, তার পাশে একটি বাড়ির গায়ে হেলে পড়েছে অন্য আরেকটি বাড়ি। সেটিও পুকুর বুজিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মঙ্গলবার গার্ডেনরিচকাণ্ডে মহম্মদ সরফরাজ পাপ্পুকে (৪৬) গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর শামস ইকবালের একটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। তাতে ফিরহাদ হাকিমকে শামস ইকবালের প্রশংসা করতে দেখা যায়। গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনার পর থেকে ফিরহাদ ও শামস ইকবালকে লাগাতার নিশানা করেছেন শুভেন্দু। ঘটনার দিন থেকেই কাউন্সিলরকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে মেয়রের বিরুদ্ধে।