কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে দলেরই দুই সংখ্যালঘু বিধায়ক না-খুশ। ভরপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পরামর্শ,'কোরান-হাদিস পড়ুন'। ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মত,'হুজুর হাকিমজি- কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি চাই'।
ফিরহাদের মন্তব্যে বাংলায় আগামী দিনে শরিয়ত শাসন চালু হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। দলেও বিরোধিতার মুখে হাকিম। ফেসবুকে ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লেখেন,'জিন্দেগি লম্বি নেহি, বড়ি হোনি চাহিয়ে হুজুর হাকিমজি- কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি চাই। ৫ বাচ্চা- রিক্সাওয়ালা, সবজিওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, পরিযায়ী শ্রমিক, হকার না হয়ে দু'বাচ্চা শিক্ষক-ডাক্তার নিদেনপক্ষে আমার মতো পুলিশ হওয়া ভাল নয় কি?'
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম?
সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম জানান,'আমরা এমন একটা ধর্মের লোক, যাঁরা বাংলায় ৩৩ শতাংশ, আর ভারতে ১৭ শতাংশ। আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবি না। আল্লাহর রহমত থাকলে একদিন আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়েও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠব। আল্লার মেহেরবানিতে নিজেদের শক্তিতে সেটা হাসিল করব। যাই-ই ঘটুক আমাদের ধর্মের লোকেরা দেখি মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে সুবিচারের দাবি করেন। মিছিল করলে সুবিচার মেলে না। এমন জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে হবে যেন সুবিচার চাওয়া নয়, আমরা সুবিচার দিতে পারি'।
শরিয়ত শাসনের ইঙ্গিত
ফিরহাদের এই বক্তব্য বাংলায় ইসলামিক শাসনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,'মমতা সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিচার নিজের হাতে নেওয়ার কথা বলছেন। সম্ভবত তিনি শরিয়ত আইন চালু করার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিজেপির আইটি সেল ইনচার্জ অমিত মালভ্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,'হাকিম এমন এতটা ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করছেন যখন মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবে না, তাঁরা আইন হাতে তুলে নেবে। অর্থাৎ শরিয়ত আইনের দিকে ইঙ্গিত করছেন। যেমনটা চোপড়ায় তৃণমূল বিধায়ক মহিলাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের পক্ষে সাফাই দিয়েছিলেন'।