রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর ডেঙ্গি প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় রয়েছে স্কুল-স্তরের সচেতনতামূলক প্রচার, র্যালি, লিফলেট বিলি এবং গ্রাফিতি। পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের মাধ্যমে তাঁদের পরিবারকে পরিচ্ছন্ন রাখতে উৎসাহী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বাচ্চাদের ডেঙ্গির মশার হাত থেকে বাঁচতে কী করতে হবে, তাও বোঝানো হবে। ইতিমধ্যেই বিষয়টিতে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে পরামর্শ পাঠিয়েছে।
পরামর্শে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করতে হবে। স্কুল চত্বরে যাতে জল না জমে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। স্কুল চত্বর পরিস্কার করার জন্য যা খরচ হবে, তা MGNREGA পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। নবান্নে 27 জুলাই মুখ্য সচিবের হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই পরামর্শগুলি জারি করা হয়েছে।
কিছুদিন ধরেই কলকাতা এবং তার আশেপাশে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর মিলছে। সংক্রমণও বাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের সাথে যুক্ত জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে স্কুলের জেলা পরিদর্শক (প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা) এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভাও ডেঙ্গি প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করেছে।
এডিস ইজিপ্টাই মশার বিষয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের জানানো হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মশার ডিম পাড়ার পরে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার জমে থাকা জল পরিস্কার করার কথা শেখানো হবে পড়ুয়াদের। স্কুলের প্রার্থনার পর পড়ুয়াদের ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করা হবে। ঘুমোনোর সময় মশারি ব্যবহার করা, নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে জ্বর হলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা ইত্যাদি। স্কুলের বাইরে টায়ার, নারকেলের মালাইয়ে জল জমে রয়েছে কী না, সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।