সিবিআই তাঁর মন্তব্যের জন্য ফোন করেছিলেন জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সতর্ক করার পর সুর নরম দিলীপ ঘোষের। শুক্রবার নিকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তিনি বলেন,'তদন্ত হচ্ছে এটাই বড় কথা।'
সাম্প্রতিককালে একের পর এক ঘটনায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি ও সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত রবিবার সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ। তিনি দাবি করেছিলেন, সিবিআই আধিকারিকদের একাংশ তৃণমূলের কাছে টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের সেটিং রয়েছে। তবে ইডির উপর ভরসা আছে তাঁর। দিলীপ বলেছিলেন,'গত কয়েক মাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছে। কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনও এফেক্ট পড়ছিল না! এর কারণ কী? সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। খবর আছে, এটা জানার পরে কিছু অফিসারকে পরিবর্তনও করা হয়েছে। যা হয় আর কী, সবাই বিক্রি। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে হয়, কেউ কোটিতে।'
বাম-কংগ্রেস 'দিদি-মোদী সেটিং' তত্ত্বে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সিবিআই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে। সেই কথাই শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রের শাসক দলের নেতার মুখে। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনস্থ তদন্তকারী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে সরাসরি দিল্লির সরকারকেই বিপাকে ফেলা। সূত্রের খবর, দিলীপের ওই মন্তব্যের পর তৎপর হয়ে ওঠে দিল্লি নেতৃত্ব। পরে অমিত মালব্যর ফোন থেকে দিলীপকে ধরেন জেপি নাড্ডা। সতর্ক থাকতে বলেন। তার পাল্টা সিবিআই নিয়ে নিজের অভিযোগের কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, খবর সূত্রের।
তার পর এ দিন অনুব্রতর সিবিআই-দাবি নিয়ে প্রশ্নে দিলীপের গলায় খানিকটা নরম সুর ধরা পড়ল। প্রশ্ন করলেন, হুমকি-চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্তে চাইছেন অনুব্রত। দিলীপ বলেন,'উনি দেখাতে চাইছেন,যে কোনও মামলায় সিবিআই দেওয়া যায়। উনি আসলে দোষী নন।'
তাহলে কি আপনার ভরসা সিবিআইতে? রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির প্রতিক্রিয়া,'এছাড়া আর উপায় কি? আমাদের পোস্ট পোল ভায়োলেন্সের পর সিবিআইয়ের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। যে দুর্নীতি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, তার তদন্ত হচ্ছে, এটাই বড় কথা।'পক্ষান্তরে দিলীপ বুঝিয়ে দিলেন, তদন্ত করছে সিবিআই।