সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফল নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, মূল্যায়ন কেমন ভাবে হয়েছে আমি জানি না। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মেয়েকে তুলে ধরার জন্য এসব হয়েছে মনে হয়। বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করার জন্য সরকারি আমলা ঘোষণা করেছেন। পুরো প্রক্রিয়ায় মাননীয়া শিক্ষামন্ত্রীকে দেখা যায়নি। পুরোটা মুখ্যমন্ত্রী চালাচ্ছেন। একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিক্ষা বিভাগে যে ডামাডোল চলছে এই বিক্ষোভ সেটা তার রেজাল্ট। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি ও ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস যে চলে যাচ্ছে। শিক্ষা দফতরের প্রতি এটা তার প্রমান।
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন ২৮ লক্ষ চাকরি হবে। সাধারণ মানুষ জানতে চায় এই চাকরি গুলো কোথায় হবে। সরকার যদি এতো ইনভেস্ট করে থাকে তাহলে যুবক চাকরি কেন হচ্ছেনা? ডোমের চাকরির জন্য কেন পোস্ট গ্রাজুয়েট বা ইঞ্জিনিয়াররা এপ্লাই করছে? যে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে এখন কাশফুলের সমাহার। ভুল বুঝতে পেরে এখন টাটাদের হাতে পায়ে ধরা হচ্ছে যাতে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে কারখানা করা যায়। সব কিছু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র সরকারকে তোপ দাগা হয়।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, বিধান সভা নির্বাচনে ১২ হাজারের বেশি হিংসার ঘটনা ঘেটেছে এ রাজ্যে। এটাই মমতা ব্যানার্জীর আসল খেলা। খেলা দিবস নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ১৬ আগস্ট গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ে হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাই রাজ্য এই ধরনের খেলার দিকে এগোচ্ছে মমতা। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কে পশ্চিম বাংলাদেশ করতে চাইছে। গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের মতো আর একটা ঘটনা ঘটাতে চাইছে।
ভ্যাকসিন ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভ্যাকসিনের ক্রাইসিস এর পেছনে পেছনে রয়েছে কালোবাজারি। সাধারণ মানুষ বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। আড়াইশো টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে বারোশো টাকা ডোনেশন দিতে হচ্ছে। নয়তো সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না, এটাই বাস্তব। তৃণমূলের নেতারা কাগজে যাদের নাম লিখে দিচ্ছে তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, আর সাধারন মানুষ রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আর তাদের ইউনিয়নের লোকেরা একমাত্র ভ্যাকসিন পাচ্ছে।