দাদার বিয়ে। অথচ জানেন না ভাই। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে দিলীপের গ্রামের বাড়ি। সেখানেই থাকেন ভাই হীরক ঘোষ। তিনি জানালেন, 'সংবাদমাধ্যমে দেখলাম। দাদার তরফে কোনও খবর পাইনি'। এদিকে, নিউটাউনে দিলীপের বাড়িতে যান সুকান্ত মজুমদার, সুনীল বনশল, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। দিলীপকে শুভকামনা জানান তাঁরা।
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। এতদিন গোপনেই চলছিল প্রেমপর্ব। শোনা যাচ্ছে, দিলীপের মা চেয়েছিলেন, নাড়ু (দিলীপ ঘোষের ডাকনাম) সংসার করুন। মায়ের ইচ্ছেয় সাত পাকে বাঁধতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপের বিয়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না ভাই হীরক ঘোষ। মা অনুমতির বিষয়টি নিয়ে তিনি অন্ধকারে। হীরকের কথায়,'দাদা থাকে কলকাতায়। কে কার কাছ থেকে অনুমতি নিল, জানি না। মা ওখানে আছে। অনুমতি দিয়ে থাকতে পারেন। ওখানে বিয়ে হলে ফোন করে তো বলত। দাদার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি'।
তিনিই দিলীপকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বলে একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন রিঙ্কু মজুমদার। তিনি বলেন,'একদিন প্রশ্ন করি, আপনি বিয়ে করবেন না স্যার? উনি বলেছিলেন, না। ১৫ দিন পর আরও একবার বলি আপনি বিয়ে করবেন না কেন? ভাবুন তো অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা। একটা বয়সের পর সঙ্গীর দরকার পড়ে। সব কথা বাইরের মানুষকে বলতে পারে না। আত্মীয় স্বজনেরাও সরে যায়। পুরুষদের তো বন্ধু হয় না। রাজনীতিতে তো নয়ই। রাজনীতি করতে গেলে বিয়ে করাটা জরুরি'।
লোকসভা ভোটে দিলীপের হারার পর দুজনে আরও কাছাকাছি আসেন বলে জানান রিঙ্কু। তিনি বলেন,'লোকসভা নির্বাচনের ফল খারাপ হওয়ার পর মনে হয়েছিল মানুষের ভিড় হয়তো কমে যাবে। তাই আমি মানবিক দিক থেকে মনে করি মাঝমধ্যেই ওঁর সঙ্গে দেখা করা জরুরি, তাই যেতাম'।
কী দেখে দিলীপকে মনে ধরল? রিঙ্কু জানান,'উনি খুব বিচক্ষণ ব্যক্তি এবং সৎ। এত বছর পর তিনি দেশের প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ওঁর চাওয়া-পাওয়া নেই'।