গত বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই জনসভায় বিজেপির রাজ্য স্তরের সমস্ত নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘আমি সাধারণ কর্মী, প্রধানমন্ত্রীর পাশে নেতারা থাকবেন…’, আলিপুরদুয়ারে নরেন্দ্র মোদীর সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে এ কথা বলেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এবার অমিত শাহের সভাতেও দেখা গেল না তাঁকে। রবিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সব ছোট-বড় নেতারা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে দিলীপ ঘোষকে দল কি পুরোপুরিভাবে বাইরে রেখেছে?
উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের বিয়ে করা এবং সস্ত্রীক দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানা সমালোচনা হচ্ছে ৷ দলীয় সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সাক্ষাৎকে দলের শীর্ষ নেতারা সঠিক ভাবে নেননি। সম্ভবত এই কারণেই আপাতত দিলীপ ঘোষকে বাইরে রাখা হয়েছে এবং তাঁকে উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে বা কলকাতায় অমিত শাহের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে, দিলীপ ঘোষকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন যে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে আমি যাইনি।
রবিবার রাজ্য স্তরের সব নেতারা নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম অমিত শাহের সভায় ডাক পেয়েছিলেন। শুধু পদাধিকারী নন, রাজ্য কমিটির সাধারণ সদস্যেরাও ডাক পেয়েছিলেন। কেবল মাত্র দিলীপ ঘোষের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছয়নি। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমার মনে হয় আরও অনেক প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে, আমাদের সাংগঠনিক সভায় আমন্ত্রণ না করলে যাওয়ার নিয়ম নেই। এখন কেবল সেই ব্যক্তিরাই বলতে পারবেন কেন আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। মাননীয় অসীম ঘোষ, মাননীয় তথাগত রায়, যিনি প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন, তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন ব্যক্তিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা তা অনুসরণ করব। গতকাল আমার জামাইষষ্ঠীর আমন্ত্রণ ছিল, সেখানে খাবার খাওয়ার পর আমি আরএসএসের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।' জানা যাচ্ছে জামাইষষ্ঠীর দুপুরে যখন শাহ নেতাজি ইন্ডোরে সভা করেন, তখন দিলীপ ঘোষ ছিলেন মামাশ্বশুরের বাড়িতে।