বিজেপি দুর্গাপুজোর বিষয়ে কিছুই জানে না বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জবাব দিলে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাল্টা মন্তব্য, 'ব্রাহ্মণের মেয়ে হয়ে যিনি চণ্ডীপাঠ ঠিক করে জানেন না। যিনি পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন করেন, তাঁর থেকে লোকে শিখবে পুজো নিয়ে? উনি কিছুই জানেন না। ভরপেট খেয়ে ইফতার পার্টিতে গিয়ে ঢেঁকুর তোলেন মুসলমান ভোটের জন্য। গায়ের জোরে টাকা দিয়ে পুজো কেনেন। তাঁর মুখ থেকে লোকে ধর্মের কথা শুনবে না। জীবনে কোনওদিন উনি ধর্মীয় কাজ করেননি। সমস্ত অধার্মিক, দুরাচারী, ভ্রষ্টাচারী লোক নিয়ে থেকেছেন। প্রতিদিন কোনও না কোনও সাংসদ বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। যারা নৈতিকতা জানেন না, যার মন্ত্রীরা লাইন দিয়ে জেলে যায়, এই সব লোকের সঙ্গে উনি থাকেন কেন? তাঁর কাছে ধর্মের কথা শুনব এত দুর্দশা আমাদের হয়নি।'
মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে। সোমবার সেই পুজোর উদ্বোধন করতে কলকাতা এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, অযোধ্যার আগেই কলকাতায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেল। বাংলায় পরিবর্তনের লড়াই চলবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্বোধনে এই প্রসঙ্গ তোলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে রাম মন্দির নিয়ে অমিত শাহের ওই মন্তব্যের কথা জানালে মমতা বলেন, 'ছাড়ুন তো ওদের কথা। দুর্গাপুজো সম্পর্কে কতটুকু জানে ওরা। কেন রামচন্দ্র অকাল বোধন করেছিলেন ওরা জানে না। অসুরকে হারানোর জন্য। মা দুর্গা আমাদের দেবতা। যিনি সর্বজ্জয়ী। ওরা তো একটা পুজো করে। একটা পুজো নিয়েই থাক।'
এনিয়ে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত বলেই কি 'ওরা' বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জবাবে দিলীপ বলেন, 'ওই পুজো আজ নয়, প্রদীপ ঘোষের সময় থেকেই পপুলার। মানুষ এমনিতেই ওখানে যায়। নেতারাও আসেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন একবার। এটা সর্বজনীন পুজো। বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের লোকেরাও পুজোয় ঢুকেছে। আমরাও চাই, আরও নেতা পুজোয় ঢুকুন। তাতে কারুর পেট ব্যথা হচ্ছে কেন? উনি কি সব কিছু টাকা দিয়ে গায়ের জোরে কিনে নিতে চাইছেন?
পুজোয় সম্প্রীতি বজায় রাখার ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে দিলীপ বলেন, 'যার বংশের সবাই চিরদিন মিথ্যা বলে এল, উস্কালো, ভোটের জন্য কুর্মী, আদিবাসী, রাজবংশীদের ভয় দেখিয়ে এল, তাদের মুখে 'এ কি কথা শুনি আজি মন্থরার মুখ'-র মতো লাগছে।