কলকাতার এই সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এবারের থিম চন্দ্রযান। চন্দ্রযানে মা দুর্গাকে আনছেন আর্মহাস্ট স্ট্রিটের পল্লীর যুবকবৃন্দ। উড়ন্ত চন্দ্রযান দিয়ে পুজোর শুরু করছেন এঁরা। আর এই চন্দ্রযান উড়বে আমাদের বাংলার এক বিজ্ঞানীর হাতেই । ইসরোর চন্দ্রযানে বিজ্ঞানী ইনশা ইরাজ ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর বাবা মহম্মদ কামালউদ্দিন ড্রোনে প্রতীকী চন্দ্রযান উড়িয়ে পুজোর খুঁটিপুজো হল আজ, রবিবার। স্বাভাবিকভাবেই এই পুজো নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এটা কোনও গিমিক নয়। এর মাধ্যমে তাঁরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধা চন্দ্রযান অভিযানের সাফল্যের প্রতি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বাংলার বিজ্ঞানীদের প্রতি, যারা ইসরোর চন্দ্রযান অভিযানের টিমে ছিলেন। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর থিম নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। দেবীর আগমন হবে চন্দ্রযানে।
১৪ জুলাই ইসরোর তরফে চন্দ্রযান-৩ রওনা করানো হয়। এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ পাঠানো হলেও, তা সফল হয়নি। এ বার তাই বিজ্ঞানীরা থেকে সাধারণ মানুষজন, সকলেরই উৎকণ্ঠা ছিল। সকাল থেকে দেখা যায়, নানা জায়গায় পুজো-পাঠ, যজ্ঞের আয়োজন হয়েছে। এবার দেশের সাফল্য উঠে আসছে পুজোর থিমেও।
মঙ্গলযানের পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইসরো)-র নজরে সৌরজগতের আরেক গ্রহ শুক্র। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালেই শুক্রে মহাকাশযান পাঠাবে ভারত। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, শুক্রের কাছে পৌঁছে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে এই গ্রহকে প্রদক্ষিণ করবে ভারতীয় মহাকাশযান। শুক্রগ্রহের সঙ্গে এই মহাকাশযানের ন্যূনতম দূরত্ব হবে ৫০০ কিলোমিটার, আর সর্বাধিক দূরত্ব হবে প্রায় ৬০০০০ কিলোমিটার।