চিকিৎসক প্রলয় বসুর রহস্যমৃত্যু। বেহালার বাড়ি থেকে উদ্ধার তাঁর ঝুলন্ত দেহ। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে ওই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ মারা গেলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। প্রলয় বসুও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি একাধিক মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্তও ছিলেন।
৪৯ বছরের প্রলয় বসু বেহালায় থাকতেন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে। তিনি বর্ধমান থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন। ভদ্রলোক হিসেবে পাড়ায় সুনাম ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ৷ শুরু হয়েছে তদন্ত। তিনি আত্মহত্যা করেন নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু সেই সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের তরফে এই নিয়ে মুখ খোলা হয়নিয ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরই আসল ঘটনা জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেহালাতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন প্রলয়। তাঁর স্ত্রী নিজেও একজন ডাক্তার। তিনি রেডিয়োলজিস্ট। ঘটনা নিয়ে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গেও ওই ডাক্তারকে নিয়ে কথা বলা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রলয় বাবু নিজে চিকিৎসক হলেও কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেজন্য তিনি মনোবিদের পরামর্শও নেন। অবসাদজনিত কারণেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে পুলিশ কিছু বলতে চাইছে না। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।