কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত ডাক্তার এবং অর্থনীতিবিদ ডক্টর জয় ভট্টাচার্যকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (NIH)-এর প্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদে তাঁকে মনোনীত করেছেন। জয় ভট্টাচার্যের ওপর থাকবে দেশের চিকিৎসা গবেষণার শীর্ষ সংস্থার দায়িত্ব, যা জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
NIH-এ নেতৃত্বের ভূমিকা
NIH-এর পরিচালক হিসেবে ড. ভট্টাচার্য ২৭টি সংস্থার কার্যক্রম তদারকি করবেন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন ওষুধ তৈরির গবেষণা, উদীয়মান মহামারী হুমকির জন্য ভ্যাকসিন তৈরি এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ।
একজন অনন্য গবেষক
জয় ভট্টাচার্য বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য গবেষণায় বিশেষজ্ঞ। তার গবেষণা মূলত স্বাস্থ্য অর্থনীতি এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রীভূত।
কোভিড-১৯ এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি
কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন, ড. ভট্টাচার্য লকডাউন এবং মাস্ক বাধ্যবাধকতার মতো নীতির সমালোচক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালে "গ্রেট ব্যারিংটন ঘোষণা"-এর সহ-লেখক ছিলেন, যা ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলিকে "ফোকাসড প্রোটেকশন" প্রদানের পক্ষে কথা বলে। এই নীতিটি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিলেও প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশ তা সমর্থন করেছিল।
সামাজিক মাধ্যম এবং মত প্রকাশ
ড. ভট্টাচার্য সামাজিক মাধ্যমেও তাঁর মতামতের জন্য সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি একটি আইনি মামলার অংশ ছিলেন যেখানে অভিযোগ করা হয় যে মার্কিন সরকার সামাজিক মাধ্যমে কিছু রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি দমন করেছে।
শৈশব এবং শিক্ষাজীবন
কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা জয় ভট্টাচার্য উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। স্ট্যানফোর্ড থেকে তিনি মেডিসিনের ডিগ্রি ও অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন।
বিশ্বব্যাপী প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ড. ভট্টাচার্যের কাজ তাঁর শিক্ষার গভীরতা এবং জনস্বাস্থ্য উন্নত করার প্রতি তার অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। NIH-এর পরিচালক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব নতুন যুগের চিকিৎসা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।