পুজো কার্নিভালের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর থেকে তিনি ঘোষণা করেন যে এবার দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হবে ৫ অক্টোবর। অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন। তার আগে ২, ৩ এবং ৪ অক্টোবর প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে স্বীকৃত পুজো ক্লাবগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও ফায়ার লাইসেন্স -সহ সমস্ত সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য ফি মকুব করা হচ্ছে। কলকাতায় সিইএসসি পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতে ৮০ শতাংশ ছাড় দেবে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাও একই ছাড় দেবে। বৃহস্পতিবার দুর্গা পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকের আয়োজন করে কলকাতা পুলিশ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বৈঠকের শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ২০১৮ সালে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুতের বিলে ২৫ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অনুদানের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা হয়। পরের বছর করোনাকালে এক লাফে অনুদান ৫০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ হাজার এবং ২০২৩ সালে ৭০ হাজার টাকা করা হয়। ২০২৪ সালে আরও ১৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা করা হয়।।
২০২৪ সালে আর্থিক অনুদান ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে অনুদানের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা হতে পারে। এবার মনে করা হয়েছিল, তাতেই শিলমোহর দিতে পারেন তিনি। তবে, এবার তিনি এক ধাক্কায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ হাজারেরও বেশি দুর্গা পুজা হয়। তার মধ্যে জেলায় জেলায় হয় ৪৩ হাজার পুজো। ৩ হাজার পুজো হয় কলকাতা পুলিশ এলাকায়। তাই পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে রাজ্যের কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হতে পারে।