Durga Puja 2025 Carnival: এবারের মতো দুর্গাপুজো শেষ। তবে কার্নিভাল কবে? তা নিয়েই এখন প্রশ্ন সকলের। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে প্রতিমা নিরঞ্জন। ২,৩ ও ৪ অক্টোবর হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে হবে এই বিসর্জন। এর পরেই অর্থাৎ ৫ অক্টোবর হবে কার্নিভাল। ৩১ জুলাই নেতাজি ইন্ডোরে সমস্ত পুজো কমিটি গুলোকে নিয়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচ দিনের পুজোতে প্রচুর মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন কলকাতায় ঠাকুর দেখতে। কার্নিভালে এই সমস্ত ঠাকুর ফের দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। পুজোর মধ্যে প্রচুর ভিড়ে অনেকেই সব ঠাকুর দেখার সুযোগ পাননি। ফলে এই কার্নিভালেই তাদের সামনে শেষ সুযোগ। আর সে কারণেই পুজো শেষ হতেই কার্নিভাল কবে তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মানুষের মনে। এই কার্নিভালের পাস জোগাড় করতেও রীতিমত চাপে পড়তে হয়।
বছর কয়েক আগে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। আর তারপর থেকে বাংলায় দুর্গাপুজোর আনন্দ আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। আয়োজনও খানিক ক্রমবর্ধমান। প্রতি বছর রেড রোডে বড় করে প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। থাকেন বিদেশি অতিথিরাও। এবারও তাঁদের সকলকে নিয়ে কার্নিভাল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
৩১ জুলাইয়ের সভায় স্বীকৃত পুজোগুলোর অনুদানও বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা। ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছে গোটা রাজ্যের পুজো কমিটিগুলো। এছাড়াও ফায়ার লাইসেন্স-সহ সমস্ত সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া গিয়েছে। ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য ফি মকুব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতায় সিইএসসি পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতে ৮০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাও একই ছাড় দেবে।
পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ হাজারেরও বেশি দুর্গা পুজা হয়। তার মধ্যে জেলায় জেলায় হয় ৪৩ হাজার পুজো। ৩ হাজার পুজো হয় কলকাতা পুলিশ এলাকায়। তাই পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে রাজ্যের কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হতে পারে।