
পুজোর আগে শরতের আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ আর কাশফুল- যেন দেবীর আগমনী বার্তা দিতে সেজে ওঠে প্রকৃতি। নিঃসন্দেহে যুগ যুগান্তর ধরে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। বাংলার আকাশে-বাতাসেও তার সুর বেজে ওঠে। পুজো আসছে আসছে, এটাই বেশ ভালো লাগে বাঙালির। পুজো আসলেই তো চোখের নিমেষে চলে যায় ষষ্ঠী থেকে দশমী। বিদায় নেন দেবী, বাংলার মেয়ে। এবারও দেখতে দেখতে পুজো চলে এল। বুধবার ষষ্ঠী, দেবীর বোধন। আবার দশমীর পর পরের বছরের পুজোর অপেক্ষা। আগামী বছর, মানে ২০২৫ সালে দুর্গোৎসব কবে?
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তবে সারা বছরই বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে দুর্গোৎসবের। একটা পুজো কাটলে আবার পরের পুজোর অপেক্ষা। আর পুজোর দিনগুলিও কেটে যায় তাড়াতাড়ি। বিজয়ার পরে আবার অপেক্ষা। এই অপেক্ষায় বাঙালি বাঁচে। তেমনই দুর্গাপুজোর সময় মেলে টানা ছুটি। এই সময়টা অনেকে চলে যান বাইরে বেড়াতে। কেউ কেউ আবার বাড়িতেই আনন্দ করেন। আর একটা বড় অংশের মানুষ বেরিয়ে পড়েন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২৫ সালে দুর্গাপুজো কবে?
মহালয়া ছিল ২ অক্টোবর। গান্ধীজয়ন্তীর ছুটিটা নষ্ট হয়েছে। আবার পুজো শেষ হচ্ছে শনি এবং রবিবার দিয়ে। আগামী বছর পুজো সেপ্টেম্বরের শেষে। মানে অক্টোবর থেকে এগিয়ে এসে সেপ্টেম্বরে। মহালয়া ২১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন রবিবার। দেবী দুর্গার বোধন, ষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার। ২ অক্টোবর দশমী, বিজয়া। এই দিন আলাদা করে বিজয়া বা দশেরার ছুটি মিলবে না, কারণ গান্ধীজয়ন্তী। লক্ষ্মীপুজো ৬ অক্টোবর, সোমবার
২১ সেপ্টেম্বর- মহালয়া
২৮ সেপ্টেম্বর- ষষ্ঠী
২৯ সেপ্টেম্বর- সপ্তমী
৩০ সেপ্টেম্বর- অষ্টমী
১ অক্টোবর- নবমী
২ অক্টোবর- দশমী
৬ অক্টোবর- লক্ষ্মীপুজো
বাঙালি পুজোয় মেতে ওঠে। সেই সঙ্গে পুজোর ছুটিও লুটেপুটে নেয়। ২০২৫ সালে ২ অক্টোবর ছুটি পাবে না বাঙালি। সেই সঙ্গে ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার। তার উপরে সেপ্টেম্বরের শেষে পুজো থাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও খুব জোরালো। বিশেষ করে বেশ কয়েক বছরে আবহাওয়ার যা গতিপ্রকৃতি তাতে সেপ্টেম্বরেও দেখা যাচ্ছে ভরা বর্ষা। এবারও বৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং পরের বছরও বৃষ্টির মধ্যেই হয়তো দুর্গোৎসব হতে পারে। তবে এখন অপেক্ষা একটা বছরের।