শেষবেলায় চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। সেটি বুধবার সকাল থেকেই উত্তর এবং উত্তর পশ্চিমদিকে এগোচ্ছে। নবমীর সন্ধ্যাতেই সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এখানেই শেষ নয়। উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সেটি গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাবে বৃহস্পতিবার।
নিম্নচাপের কী প্রভাব?
এই নিম্নচাপের প্রভাবে নবমীতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। উপকূলের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারবেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দশমী ও একাদশীতেও ভাসবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশ।
কলকাতায় কবে কবে বৃষ্টি?
নবমীর রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে কলকাতায়। দশমী এবং একাদশীতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে শহরে। শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। রবিবার কলকাতায় কার্নিভালের দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দশমীতে ঝড়বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই চার জেলায় ইতিমধ্যেই অতি ভারী বৃষ্টির জন্যে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা বাতাস। একাদশীতেও ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
নবমীতে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গেও। দশমীতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া।