Shashi Panja on Durgapur Case: দুর্গাপুর কাণ্ডে ধৃতদের 'ধর্ম' তুলছেন শুভেন্দুরা, পাল্টা নিশানা TMC-র শশীর

রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী শশী পাঁজা বলছেন, 'ধর্ষণের কোনও জাত বা ধর্ম নেই, এটি একটি জঘন্য অপরাধ। রাজ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি ধর্ষণের মতো ঘটনাগুলিকে জাত এবং ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করছে।'

Advertisement
 দুর্গাপুর কাণ্ডে ধৃতদের 'ধর্ম' তুলছেন শুভেন্দুরা, পাল্টা নিশানা TMC-র শশীরঅভিযুক্তদের পরিচয় নিয়ে রাজনীতি করছে BJP, দুর্গাপুর কাণ্ডে অভিযোগ TMC-র

দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের  ছাত্রীকে  ধর্ষণ কাণ্ডে ৫ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫ জনকে এদিন ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ ৷ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ঘটনার পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ পাশাপাশি, মঙ্গলবার ধৃতদের মধ্যে দু'জনকে তাদের বাড়িও নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ এদিন পাঁচ অভিযুক্তর পাশাপাশি নির্যাতিতার সহপাঠীকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ ৷ এদিন  দুই অভিযুক্ত তথা শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ 
নাসিরউদ্দিনকে তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের বাড়ি বিজড়া গ্রামে। ঘটনার দিন ওই সময় অভিযুক্তরা যে পোশাক পরেছিলেন, সেগুলি মঙ্গলবার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতে পারে পোশাকগুলিকে। 

জানা গিয়েছে, যে ৫ জন অভিযুক্ত ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজন ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী। একজন হাসপাতালে কাজ করে, একজন পুরসভার ঠিকাকর্মী এবং আর একজন বেকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের অভিযুক্তদের নাম শেখ নাসিরুউদ্দিন,  শেখ রেয়াজউদ্দিন, শেখ ফেরদৌস এবং শেখ সফিকুল। প্রত্যেকের বাড়ি বিজড়া গ্রামে। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, শেখ নাসিরুউদ্দিন তৃণমূলের ক্যাডার। এদিকে দুর্গাপুরের ঘটনায় বিজেপি রাজনীতিকরণ করছে বলে নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস।

রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী শশী পাঁজা বলছেন, 'ধর্ষণের কোনও জাত বা ধর্ম নেই, এটি একটি জঘন্য অপরাধ। রাজ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি ধর্ষণের মতো ঘটনাগুলিকে জাত এবং ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করছে।' পাশাপাশি শশী পাঁজা প্রশ্ন তুলেছেন, 'বিজেপি আমাদের ধর্ষণ বিরোধী বিলের বিরোধিতা করছে কেন? কেন এই বিষয়টিকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে? তাহলে আমরা এটাও বলতে পারি,  এখন ওড়িশায় কী ঘটছে, ত্রিপুরায় কী ঘটেছে, জয়পুরে কী ঘটেছে, লখনউতে কী ঘটেছে। কেন এসব রাজ্যে নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে ? কেন তারা বাংলায় রাজনীতি টেনে আনবে। বিজেপি এটিকে রাজনীতিকরণ করছে, যা আরও নিন্দনীয় অপরাধ। এমন  রাজনীতি করা অত্যন্ত অন্যায়। মানুষ তা দেখছে। আমরা জানি,  যখন বাংলায় এই ধরনের নির্যাতন করা হয়, তখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং শাস্তি দেওয়া হয়।  তাই বিজেপির বড় কথা বলা উচিত নয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত দুর্গাপুর কাণ্ডে প্রথম থেকেই শাসক–বিরোধী রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব এবং বিজেপি শাসিত ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি এর আগেই দুর্গাপুরের ঘটনায় রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার এই ঘটনায় ধৃত এক অভিযুক্তের তৃণমূল–যোগের অভিযোগও তুলেছেন। পাল্টা উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ–সহ পদ্ম–শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে ধর্ষণ, গণধর্ষণের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও। নারী নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা নিয়ে তৃণমূল  সরাসরি বিঁধেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।
 

POST A COMMENT
Advertisement