Tourism Eastern Rail: বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক তুঙ্গে, কোন রুটে কোন ট্রেনে কত সিট ভর্তি? বিস্তারিত জানাল রেল

পুজো মানেই বাঙালির ভ্রমণের এক অসাধারণ উন্মাদনা। দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাঙালির মন পড়ে থাকে ঘোরাঘুরিতে, আর এর জন্য প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ট্রেন ভ্রমণ। প্রতি বছরই পুজোর সময় ট্রেনের চাহিদা তুঙ্গে থাকে, আর এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়।

Advertisement
বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক তুঙ্গে, কোন রুটে কোন ট্রেনে কত সিট ভর্তি? বিস্তারিত জানাল রেলপুজোর মরসুমে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • পুজো মানেই বাঙালির ভ্রমণের এক অসাধারণ উন্মাদনা।
  • দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাঙালির মন পড়ে থাকে ঘোরাঘুরিতে, আর এর জন্য প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ট্রেন ভ্রমণ।

পুজো মানেই বাঙালির ভ্রমণের এক অসাধারণ উন্মাদনা। দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাঙালির মন পড়ে থাকে ঘোরাঘুরিতে, আর এর জন্য প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ট্রেন ভ্রমণ। প্রতি বছরই পুজোর সময় ট্রেনের চাহিদা তুঙ্গে থাকে, আর এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন রুটে ট্রেনের ওপর আস্থা রেখে বাঙালি ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গেছেন, আর ট্রেনের পূর্ণতা তালিকা (অকুপেন্সি পজিশন) তার স্পষ্ট প্রমাণ।

পুজোয় ট্রেন ভ্রমণ: চাহিদার তুলনায় টিকিটের অভাব
ট্রেনে ভ্রমণ করা বেশ সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ একটি মাধ্যম, তাই বেশিরভাগ বাঙালির প্রথম পছন্দ ট্রেন। তবে, পুজোর সময় এই চাহিদা এতটাই তীব্র হয় যে বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট বহু আগে থেকেই বুক হয়ে যায়। অনেকেই প্ল্যান করে রেখেও শেষ মুহূর্তে টিকিট পান না।

এক নজরে কিছু প্রধান ট্রেনের চাহিদার পরিসংখ্যান:
কলকাতা-আগরতলা গরিব রথ এক্সপ্রেস: এই ট্রেনটির অকুপেন্সি ১৮৫%, যা বোঝায় যে একটি বার্থে একাধিকবার যাত্রী ভ্রমণ করেছেন।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস: এরও অকুপেন্সি ১৮০%, যা এই রুটের বিপুল জনপ্রিয়তা নির্দেশ করে।
জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস: কলকাতা থেকে ছাড়া এই ট্রেনটির চাহিদা ১৬৫%।
কামরূপ এক্সপ্রেস: ডিব্রুগড়গামী এই ট্রেনটির চাহিদা প্রায় ১৬৪%, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের যাত্রীদের ভিড় দেখায়।

অন্যান্য ব্যস্ত রুট
অন্যান্য ট্রেনগুলির ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে:
মুম্বই মেল এবং হাওড়া-অমৃতসর মেল: প্রায় ১৫০% অকুপেন্সি।
অকালতখ্ত এক্সপ্রেস: অমৃতসরগামী এই ট্রেনেরও অকুপেন্সি ১৫০%।
হাওড়া-বিকানির সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস: অকুপেন্সি ১৪৩%।
পুর্বা এক্সপ্রেস এবং উপাসনা এক্সপ্রেস: এগুলির চাহিদাও ১৪০% এর বেশি।

বিশেষ পর্যটন ট্রেন
মালদা-দিঘা এক্সপ্রেস: এই ট্রেনটিতেও ১৩০% অকুপেন্সি দেখা গেছে।
তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস এবং কুলিক এক্সপ্রেস: যাত্রীর চাহিদা যথাক্রমে ১২৫% এবং ১২১%।
রাজধানী এক্সপ্রেস: শিয়ালদহ-নয়াদিল্লি রুটের এই বিখ্যাত ট্রেনের অকুপেন্সি ১১৪%।
দার্জিলিং মেল: পুজোর চারদিনে এই ট্রেনেও ১১৪% পূর্ণতা ছিল।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও দুরন্ত এক্সপ্রেস
নতুন প্রজন্মের ট্রেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ট্রেনটির অকুপেন্সি ১০৫%, যা বোঝায় যে যাত্রীরা উচ্চগতির ট্রেনের সুবিধা উপভোগ করছেন। অন্যদিকে, শিয়ালদা-নিউ দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস-এর অকুপেন্সি প্রায় ১১০%।

Advertisement

পুরী ভ্রমণের উন্মাদনা
বাঙালির পুরী ভ্রমণের প্রতি ভালবাসা যে অপরিসীম তা একেবারে স্পষ্ট। কলকাতা-পুরী স্পেশাল ট্রেন-এর অকুপেন্সি ১০০% ।পুরী সর্বদাই বাঙালির প্রিয় পর্যটনস্থল।

ট্রেনের প্রতি বাঙালির আস্থা
এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে যে ট্রেন ভ্রমণের প্রতি বাঙালির ভরসা কতটা বেশি। পুজোর মতো উৎসবের সময় ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন এক যুদ্ধ। প্রচুর চাহিদার মধ্যেও ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা এবং অকুপেন্সি তালিকায় বাঙালির ভ্রমণপ্রিয় মনোভাব স্পষ্ট ফুটে ওঠে।

 

POST A COMMENT
Advertisement