কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসুকেও সমন পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে আগামী মাসের ৩ তারিখ মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তলব করা হয়েছে আরও দুই উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিককেও। মেদিনীপুর বিভাগের ডিআইজি শ্যাম সিং এবং এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংকে সমন পাঠানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ৮ এবং ৯ তারিখ তাঁদের হাজির হতে বলা হয়েছে।
আগেও তৎপর হয়েছিলেন তদন্তকারীরা
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। নির্বাচনের আগেই এই মামলায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। জুলাই মাসেই রাজ্যের ৭ শীর্ষ পুলিশ কর্তাকে ডেকে পাঠায় ইডি। তাঁরা হলেন- সিআইডি-র এডিজি জ্ঞানবন্ত সিং, কোটেশ্বর রাও, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান, মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি শ্যাম সিং, রাজ্য পুলিশের এডিজি এবং আইজি (পরিকল্পনা) রাজীব মিশ্র, সুকেশকুমার জৈন এবং তথাগত বসু। জুলাই এবং আগস্ট মাসের বিভিন্ন সময়ে তাঁদের দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়। ২৬ জুলাই থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এবং তা চলে আগস্ট মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত।
ডেকে পাঠানো হয়েছিল আইপিএসদের
সূত্র জানাচ্ছে, ওই ৭ আইপিএস অফিসার এর মধ্যে এমন কয়েকজন সে জায়গায় কর্তব্যরত ছিলেন, যেখানে কয়লা পাচার -এর অভিযোগ উঠেছে। সেখানে অবৈধ উপায়ে কয়লা তোলাও হত। আরও জানা গিয়েছে, সে সব কথা তাঁদের জানা ছিল। মানে অবৈধ কয়লা তোলা এবং পাচার। তবে তারপরও তাঁদের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি কয়েকজন পুলিশ অফিসারও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
ওই ৭ আইপিএস অফিসার (IPS Officer)-এর তরফ থেকে আবেদন করা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণের জন্য সশরীরে উপস্থিতির বদলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তবে সেই আর্জি মানা হয়নি বলে খবর। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়িতে নগদ লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়লা পাচার মামলায় এর আগে ইডি পলাতক তৃণমূল যুবনেতা বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে।