শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে ED-র (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের) হানা। এ দিন শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১২০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সংক্রান্ত তদন্তের জন্য এই অভিযান। এক্ষেত্রে একটি গয়নার সংস্থা ভুঁয়ো ঋণ নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ।
ED-এর একজন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই গয়নার সংস্থার অফিস, মূল মালিকের বাড়ি, উচ্চপদস্থ কর্মী ও একাধিক কর্মচারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এই তল্লাশির মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টের বাড়িতে চলছে তল্লাশি
যত দূর খবর, এ দিন উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকার এক চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের (সিএ) বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। ওই সিএ এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করছে ইডি। সেই কারণেই তার বাড়িতে চলছে তল্লাশি। বিভিন্ন প্রমাণ জোগাড়ের চলছে চেষ্টা।
কী বলছেন ED-এর আধিকারিক?
এই প্রসঙ্গে ED-এর এক আধিকারিক বলেন, 'আর্থিক দুর্নীতি নির্মূল করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারই ফলস্বরূপ এই অভিযান। যারা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অপব্যবহার করে, তাদের বিচারের আওতায় আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।'
কতগুলি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ?
১২০০ কোটির কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। আর এটা একটা ব্যাঙ্ক থেকে করা সম্ভব নয়। বরং এই জালিয়াতিতে অন্তত ২৫টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ঋণ নেওয়ার জন্য একাধিক ভুয়ো সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল বলে বলে খবর।
আর এই বিপুল টাকার কেলেঙ্কারি জন্য গয়নার সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ আর্থিক প্রতারণার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই নেটওয়ার্কের সাহায্যেই ১২০০ কোটি টাকা লোন নেওয়া হয়।
ও দিকে সুজিত বোসের অফিসে ইডি
পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসের বাড়িতেও এ দিন সকাল থেকে রেড চালাচ্ছে ইডি। পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারিতেই সেখানে তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে শুধু সুজিত নন, তার পাশাপাশি দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপৌরপ্রধান নিতাই দত্তের বাড়িতেও রেড চলছে। তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে তল্লাশির খবর কেন্দ্রীয় সংস্থার। সেখানেও নিত্যনতুন প্রমাণের খোঁজ চলছে। যদিও কতটা কী প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে, সেটা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। সে দিকেও আমাদের চোখ থাকবে।