বিবাহ বিচ্ছেদ ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়ার? তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের প্রাক্তন কর্মীর

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ভোটের ফলাফল। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিদায় নিতে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে। তাঁর জায়গায় আসতে চলেছেন জো বাইডেন। সারা দুনিয়া তাকিয়ে ছিল এই ভোটের দিকে। তবে বোধহয় এর থেকেও বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং সেটা ব্যক্তিগত বিপর্যয়। স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। 

এক বিখ্যাত ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে দাবি করা হয়েছে, মেলানিয়া ট্রাম্প এখন সময় গুনছেন। অপেক্ষা করছেন কখন ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যান। এবং তারপরই তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে। শেষ হয়ে যাবে ১৫ বছরের সম্পর্ক। 

হোয়াইট হাউজের এক প্রাক্তন কর্মী। ওমারুসা মানিগল্ট নিউম্যানের বক্তব্য, মেলানিয়া এখন প্রতিটা মুহূর্ত গুনছেন। কখন ডোনাল্ড ট্রাম্প অফিস থেকে বেরোবেন আর তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পথে এগোতে পারবেন। ওই খবরে আরও দাবি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক মধুর ছিল না। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি থাকার সময় মেলানিয়া যদি তাঁকে ছেড়ে চলে যেতেন, তাহলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতেন, শাস্তি দিতে পারতেন।

হোয়াইট হাউজের আর এক প্রাক্তন কর্মী স্টিফানি উলকফ দাবি করেছেন, মেলানিয়া ইতিমধ্যে খোরপোষ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। তিনি ও তাঁর ছেলে যাতে সমানুপাতে সম্পত্তির ভাগ পান, সে দিকে এগোচ্ছেন। 

বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের যাওয়ার পর সেখানে যেতে মেলানিয়া ট্রাম্প মাস পাঁচেক অপেক্ষা করেছিলেন। তাঁর ছেলে ব্যারন যাতে লেখাপড়া শেষ করতে পারে, তাই জন্যে তিনি অপেক্ষা করছিলেন। ২০০৫ সালে তাঁদের বিয়ে হয় এবং ব্যারনের জন্ম হয় তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৬ সালে। ২০০১ সালে মেলানিয়া মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। 

বিভিন্ন সভায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে দেখা যেত মেলানিয়া ট্রাম্পকে। তবে এবার নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে কম দেখা গিয়েছে।
 
জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের আগে মেলানিয়াকে একটি চুক্তি করতে হয়েছিল। চুক্তির বিষয়বস্তু হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপারে কোনও সমালোচনামূলক বক্তব্য বা রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বই প্রকাশ করা যাবে না।