উল্টোডাঙায় ভয়াবহ আগুন, অষ্টমীর রাতে উৎসবে তাল কাটল

অষ্টমীর সন্ধ্যায় ভয়াবহ কাণ্ড। উল্টোডাঙা ক্যানাল ইস্ট রোডে এক বাড়িতে আগুন লেগে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছায় দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। খালপাড়ের ওই বাড়ি থেকে সমস্ত বাসিন্দাদের বার করে আনা হয়েছে নিরাপদে। তবে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বলে খবর।

Advertisement
উল্টোডাঙায় ভয়াবহ আগুন, অষ্টমীর রাতে উৎসবে তাল কাটলউল্টোডাঙায় ভয়াবহ আগুন, অষ্টমীতে উৎসবে তাল কাটল

কলকাতা কর্পোরেশন তেরো নম্বর ওয়ার্ডের উল্টোডাঙ্গা ক্যানেল ইস্ট রোডে জগন্নাথ মন্দিরের উল্টোদিকে টিনের চালের দোতলা বাড়িতে আগুন লেগে উৎসবের আবহে আতঙ্ক এলাকায়। ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। কিভাবে আগুন লাগিয়েছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে দমকল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

অষ্টমীর সন্ধ্যায় ভয়াবহ কাণ্ড। উল্টোডাঙা ক্যানাল ইস্ট রোডে এক বাড়িতে আগুন লেগে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছায় দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। খালপাড়ের ওই বাড়ি থেকে সমস্ত বাসিন্দাদের বার করে আনা হয়েছে নিরাপদে। তবে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বলে খবর।

আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। খালপাড়ে একের সঙ্গে অন্য লাগানো ঘরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দোতলা বাড়িটিতে ফাটতে থাকে একের পর এক সিলিন্ডার। তাতে বাড়ে আগুনের তীব্রতা। বাড়ি থেকে লাগোয়া গাছেও আগুন ছড়িয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গাছটিও। গোটা এলাকা ভরে যায় ধোঁয়ায়। উৎসবের মেজাজ বদলে যায় ভয়াবহতায়। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনাস্থলে আসেন কাউন্সিলর অনিন্দ্য রাউতও। গৃহহারাদের পুরসভার তরফে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

কী ভাবে লাগল আগুন?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ আচমকা ক্যানাল ইস্ট রোডে খালের পাড়ে অবস্থিত ওই দোতলা বাড়িতে আচমকা আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। দ্রুত সাহায্যের জন্য ছুটে আসেন। কাঠের বাড়ির জন্য আর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ফাটতে থাকে একের পর এক সিলিন্ডার। স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি ওই বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের বের করে আনার কাজে হাত লাগান। খবর যায় শ্রেয়া পাণ্ডের কাছে। সূত্রের খবর, তিনি সেসময় দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো শ্রীভূমিতেই ছিলেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকল মন্ত্রীকে জানান তিনি। দ্রুত পৌঁছায় সাহায্য। শ্রেয়া নিজেও আসেন সেখানে। প্রথমে পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও দ্রুত বাড়ে ইঞ্জিনের সংখ্যা। একত্রে নয়টি ইঞ্জিনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা।

 

POST A COMMENT
Advertisement