২১জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে রেগে না যান সে কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ফিরহাদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন,'কী প্রমাণ আছে?'
মিঠুন এ দিন বলেন,'ওগুলো ফাঁকা আওয়াজ। মিঠুনদা তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন যাতে দিদি রেগে না যান। মিঠুনদা নিজেই চাইছেন, তৃণমূলের সঙ্গে গণ্ডগোল করে লাভ নেই। কিছু কারণবশত বিজেপিতে গিয়েছেন। সেটা ওঁর নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার।'
ফিরহাদের কথার গুরুত্ব নেই বলে প্রমাণ চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,'কী প্রমাণ আছে? এই কর্মচারীদের কথায় গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। এই সব কথাবার্তা বলে প্রচারের আলোয় আসতে চায়।'
গতবছর ২৭ জুলাই রাজ্যে এসে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন,'এই মুহূর্তে ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনের সঙ্গে আমার সরাসরি যোগাযোগ। বাকিটা আপনি হিসাব করুন।'পরে ২৪ সেপ্টেম্বরও একই দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২১ জন থেকে একটাও কমেনি। দলের অনেকেই বলেছেন পচা আলু নেব না। আমি বলেছি, এতটা বোকা নই একই ভুল করব।'
অতিসম্প্রতি প্রজাপতি ছবিতে মিঠুনের অভিনয় নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, ছবিতে মিঠুনের অভিনয় ফ্লপ। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে জমিয়ে দিতেন। পরে কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মিঠুন কটাক্ষ করেছিল, এলি-তেলির মন্তব্যের জবাব দেবেন না। তার পাল্টা কুণাল দাবি করেন,পদ্মশ্রী পেতে তাঁকেই ধরেছিলেন মিঠুন। এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় ঘুরছেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আবাস যোজনার বিক্ষোভ নিয়ে গতকাল নিয়ে আশ্বাস দেন,যদি না মরে যাই, যাঁদের যাঁদের কাঁচা বাড়ি আছে, তাঁদের পাকা বাড়ি আমিই করে দেব। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতেই হবে।'
আরও পড়ুন- ‘অ-আ-ক-খ’ শিখবেন রাজ্যপাল, সরস্বতী পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাতেখড়ি