Firhad Hakim On Baghajatin Building: 'CPM আমলেই জলাভূমি ভরাট শুরু, আমরা এসে বন্ধ করেছি', ব্যাখ্যা ফিরহাদের

ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ। কারণ অনেকেই গৃহঋণ নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। ইএমআই চলছে তাঁদের। মেয়র বলেন,. 'বহুতলটি ভাঙা হবে। তার আগে জিনিসপত্র বের করা হবে। যে পরিবাররা কিনেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সবরকম সাহায্য করব'।

Advertisement
'CPM আমলেই জলাভূমি ভরাট শুরু, আমরা এসে বন্ধ করেছি', ব্যাখ্যা ফিরহাদেরবাঘাযতীনের বহুতল নিয়ে যা বললেন ফিরহাদ
হাইলাইটস
  • বহুতলটি 'লিফটিং' করছিল হরিয়ানার একটি সংস্থা।
  • ওই সংস্থা বাংলার ও হরিয়ানার মাটির সঙ্গে ফারাক করতে পারেনি।  
  • এমনটাই মনে করেন ফিরহাদ।

বাঘাযতীনের হেলে পড়া বহুতল ভাঙার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্ল্যাট-হারা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করবেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন, জলাভূমি বুজিয়ে বাড়িটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল সিপিএম আমলে। 

বহুতলটি 'লিফটিং' করছিল হরিয়ানার একটি সংস্থা। ওই সংস্থা বাংলার ও হরিয়ানার মাটির সঙ্গে ফারাক করতে পারেনি।  সে কারণেই ভেঙে পড়েছে বহুতলটি। এমনটাই মনে করেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়,'হরিয়ানায় হার্ড সয়েল। এখানে গঙ্গা মাটি। আমাদের মাটি দুর্বল। হার্ড সয়েল বা পাথুরে মাটি ভেবে করতে গিয়ে এই পরিণতি হয়েছে। সয়েল টেস্ট করা উচিত ছিল'।

ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ। কারণ অনেকেই গৃহঋণ নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। ইএমআই চলছে তাঁদের। মেয়র বলেন,. 'বহুতলটি ভাঙা হবে। তার আগে জিনিসপত্র বের করা হবে। যে পরিবাররা কিনেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সবরকম সাহায্য করব। তাঁরা প্ল্যান পেয়ে আইনিভাবে যাতে করতে পারেন, সেটা দেখবে কলকাতা পুরসভা। প্রোমোটাররা তৈরি করে চলে যাবে, সাধারণ মানুষ ভুগবে, এটা যেন না হয়'। 

বাম আমলেই জলাভূমি ভরাটের 'সংস্কৃতি' শুরু হয়েছিল বলে দাবি করেন ফিরহাদ। তিনি জানান,'২০১০ সালে আমরা এসেছি। ২০০৯ সালের আগে এখানে আর গার্ডেনরিচে জলাভূমি ভরাট শুরু হয়েছিল। সিপিএমের রাজত্বে জলাভূমি বোজানো সংস্কৃতি ছিল। আমরা আসার পর আইন করে জলাভূমি বোজানো বন্ধ করেছি'।

লিফটিং করতে গেলে পুরসভার থেকে নির্দিষ্ট অনুমতি নিতে হবে বলেও জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন,'লিফটিং করতে গেলে অনুমতি নিতে হবে। সিসি ছাড়া কিছুই যাবে না। লিফটিং করার অনুমতি দেয় পুরসভা। সয়েল টেস্ট, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার,একজন ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব নিতে হয় এবং সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাও খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই মেলে অনুমতি'।

POST A COMMENT
Advertisement