মহেশতলায় দুই গোষ্ঠীর হিংসা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে লুটপাট হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার প্রতিক্রিয়া এল তৃণমূলের তরফে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মহেশতলাকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ, বিজেপি অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।
মহেশতলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমাদের এই বাংলায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না। যদি কোনও ক্রিমিনাল অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের লক্ষ্য, ক্রিমিনালদের শাস্তি দেওয়া। সেটাই হবে। দোষীদের ছাড়া হবে না। পুলিশের গায়ে হাত তুললে শাস্তি হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিজেপি সন্ত্রাসবাদী দল। ওরা কী বলল বা বলল না তাতে কিছু আসে যায় না। ওরা ধর্মীয় উসকানি দেয়। ভেদাভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের বাংলায় শান্তি রয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এদিন সন্ধেবেলা মহেশতলাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়ে ভবানী ভবনে ডিজির সঙ্গে দেখা করতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি দাবি করেন, ডিজি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। শুভেন্দুর অভিযোগ, হিন্দুদের বাড়িতে, দোকানে লুট, ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। বহু গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশ ও হিন্দুদের বাঁচানোর জন্য আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান তিনি। আগামিকাল বিধানসভায় এই নিয়ে সবর হবে বিজেপি, কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা।
বুধবার বিকেলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা জখম হয়েছেন বলে দাবি। ইটবৃষ্টিতে রক্তাক্ত হয়েছেন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। উন্মত্ত জনতার রোষ সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।