নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) জামিনে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বুধবার মামলার শুনানি। ততদিন পর্যন্ত এই ৪ নেতাকে থাকতে হবে জেল হেফাজতে। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত নারদ মামলায় মঙ্গলবারই তৃণমূলের ৩ বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। নিজাম প্যালেসে হাজির হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে সিবিআই-এর আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেফতার করা হলে আমাকেও গ্রেফতার করতে হবে।" একইসঙ্গে ফিরহাদ সুব্রতদের গ্রেফতার করা হলে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়কে ছাড় দেওয়া হল কেন সেই প্রশ্নও তোলা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
পরবর্তী সময়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে শুরু হয় মামলায় শুনানি। সওয়াল-জবাব শেষে ৫০ হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে ৪ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। এরপর তৃণমূলের আইনজীবী নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, "যদি কেউ ঘুষ চায় এবং তা দেওয়া হয়, তবেই তা প্রিভেনশান অফ কোরাপশান আইনের আওতায় পড়ে। কিন্তু যদি কেউ শুধু টাকা দিয়ে চলে যায় তাহলে তা ওই আইনের আওতায় পড়ে না।" তিনি আরও বলেন, "কোভিড পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে অপ্রয়োজনীয় ভাবে কাউকে আটক করতে পারবে না পুলিশ।" একইসঙ্গে কল্যাণ আরও দাবি করেন, "মিনিস্টার অফ কাউন্সিলের পরামর্শ ছাড়া রাজ্যপাল স্বাধীনভাবে কোনও অনুমতি দিতে পারেন না। রাজ্যপালের অনুমতি দেওয়ার সেই ক্ষমতা নেই।" এক্ষেত্রে সিবিআই 'ব্যাকডোর পলিসি' ব্যবহার করছে এবং রাজ্যপাল তাতে ইন্ধন দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূলের এই আইনজীবী নেতা।
তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সেখানে চলে শুনানি। অবশেষে ৪ নেতার জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানি হবে আগামী বুধবার। ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে হবে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।