একদিকে হু হু করে বাড়ছে আলুর দাম। তারই মধ্যে ভিনরাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা থেকে আলু যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতেও। ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আলু ব্যবসায়ীরা। আলু নিয়ে যাবতীয় জটিলতার মধ্যেই বিধানসভায় ফের আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলে দিলেন, 'আগে বাংলা পাবে, তারপর বাকিরা।' অন্যদিকে আজ অর্থাত্ সোমবার আলু ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠকও করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
আলু রফতানি বন্ধ রাখার বিষয়ে যে মমতা নিজের অবস্থানেই অনড়
আলুর দামে রাশ টানতে ভিনরাজ্যে রফতানি বন্ধ করার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই সীমানায় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। বাইরের রাজ্যে যাতে আলু না যায়, পুলিশ কড়া চেকিং করছে। ইতিমধ্যেই প্রচুর আলু পাচার ধরাও পড়েছে। আলু রফতানি বন্ধ রাখার বিষয়ে যে মমতা নিজের অবস্থানেই অনড়, তা আজ বিধানসভায় ফের স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা
বললেন, 'আলুর দাম বাড়লে আমরা কিনে সুফল বাংলায় সাপ্লাই করি। কিন্তু কিছু লোক বাইরে রপ্তানি করছে নিজেদের ব্যবসার জন্য। বাংলার চাহিদার ৭৫% পেঁয়াজ এখানে উৎপাদন হয়। সেখান থেকেও লোকে বাইরে পাঠাচ্ছে। ফলে দাম বাড়ছে। মধ্যবিত্তের সমস্যা বাড়ছে। ব্যাগ ভরে বাজার করে ফিরতে নাভিশ্বাস উঠছে। আগে বাংলা পাবে, তার পর বাকিরা।'
আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারিতে কড়া মনোভাব সরকারের
এহেন পরিস্থিতিতে আলু ব্যবসায়ীদের দাবি, এদিন আলু ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও। ওই বৈঠকের পরে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হলেও, ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আলু তাদের রফতানি করতে দিতেই হবে। না হলে আমরা ধর্মঘটে যেতে চিন্তাভাবনা করব। পাল্টা বেচারামও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কঠোর মনোভাব দেখাবে। জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের দ্বারা করণীয় সব পদক্ষেপ নিতে আইনগত অধিকার রয়েছে, এবং চরম সিদ্ধান্ত নিতেও তারা পিছপা হবে না। ধর্মঘটের মুখে আলু রফতানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাজ্য সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ভিনরাজ্যে আলু পাচার নিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'অল্প কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থের জন্য রাজ্যের মানুষের ক্ষতি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'