‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে’ গীতা পাঠের অনুষ্ঠানবেলডাঙা ব্লকের মরাদিঘি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বহিস্কৃক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর শনিবার করলেন বাবরি মসজিদের প্রস্তাবিত জমিতে শিলান্যাস। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে’ গীতাপাঠ হচ্ছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’-এর তরফে এই আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে’ গীতা পাঠের অনুষ্ঠান সম্পর্কে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের প্রধান স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বা কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, ব্রিগেডের এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অংশ নিচ্ছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জ্ঞানানন্দ মহারাজ। রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টো পর্যন্ত গীতা পাঠ চলবে।
২০২৩ সালেও ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র আয়োজন করা হয়েছিল ব্রিগেডে । এই কর্মসূচি উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম হয়েছে ব্রিগেডে। তাই ভিড় সামলাতে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেল জানিয়েছিল, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত গীতা পাঠ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক প্রত্যাশিত ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের সুবিধার্থে, পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদা এবং হাওড়া শাখায় ৭ ডিসেম্বর ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তায় গীতা পাঠে অংশগ্রহণকারীদের দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে দল বেঁধে হেঁটে তাঁরা ব্রিগেডের দিকে আসছেন। বাস, মালবাহী ছোট গাড়ি করেও মানুষ ব্রিগেডের দিকে আসছেন।
এই গীতা পাঠে ভারতের পাশাপাশি অসম , ত্রিপুরা, দিল্লি, বিহার, ওড়িশা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষ যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকেও কিছু অতিথি ও গীতাপ্রেমীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি মেনে করা হয়েছে। এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলেও আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে।
ব্রিগেডে তিনটি মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। মূল মঞ্চে প্রায় দেড়শো জন সাধুসন্ত উপস্থিত। বাকি মঞ্চগুলিতে অন্যান্য সাধু সন্তরা আছেন। নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, ,এবছর গীতার ৫হাজার ১২৬তম জন্মজয়ন্তী। অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য ২৫টি প্রবেশ পথ রয়েছে এবং এবছর প্রবেশ অবাধ, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কোন নাম নথিভুক্তকরনের প্রয়োজন নেই।